শীত যাই যাই করছে, ফাগুনের আগমনী সুর হাওয়ায় হাওয়ায়...
পলাশ শিমুলের বনে বনে আবীর রাঙানো লালের ছোঁয়া।
বসে ছিলাম নরম রোদের আলো গায়ে মেখে, তখন
আলমারি খুলে বকুলের গন্ধ মাখা চিঠিটা পেলাম।
কাকে পাঠাই,কাকে পাঠাই...ভাবছি।
আকাশের কাছে পাঠাতে পারি,এর বদলে যদি তার উদারতা উত্তরে পাঠিয়ে দেয়,দিতেই পারে।
অথবা চিঠিটা সমুদ্রের ঠিকানায় দিয়ে দিতে পারি,
সে হয়ত তার বিশালতা ফিরতি খামে পাঠিয়ে দিবে।
আবার ইচ্ছে হলে চিঠিটা পোস্ট করে দিলাম নদীর কাছে এর উত্তরে তার গভীরতা নিশ্চিত দেবে।
আমার বকুলগন্ধী চিঠিটা অরণ্যের কাছে পাঠালেও হয়।
অরণ্য তার বৃক্ষরাজির মমত্ববোধ এবং স্নেহরাশির কিছুটা আমাকে উপহার কি দেবেনা?
আমার ভালোবাসার চিঠিটা কি ফুলের বনে রেখে আসবো?
নরম নমনীয় কোমল পুষ্প সকল তাদের মিষ্টত্ব তাদের কোমলতা আমাকে ধার হিসেবে হলেও দিতে পারে।
আমার চিঠিটা বরং আমি প্রকৃতির সব সৃষ্টির ঠিকানায় একটা করে পাঠিয়ে দিব।
আমার যত শূন্যতা পূরণ হবে তাদের দানে।
আমার চিঠির মূল্য কোন মানুষ বুঝবেনা।
আমার অপূর্ণতা আমার অসম্পূর্ণতা মানুষের দ্বারা পূরণ হবার নয়।
তারাও যে অসম্পূর্ণ আমার মতই।
তাই চিঠিটা কোন মানুষের ঠিকানায় ভুলেও পোস্ট করবো না।
আমার চিঠি ফাগুন হাওয়ায় ভাসিয়ে দিব,
পলাশ রঙে রাঙিয়ে দিব।
তবু এবার চিঠি মানুষ নয় প্রকৃতির সমীপে দিব।
বকুলের গন্ধ মাখা ভালোবাসাময় একটি চিঠি।