প্রয়োজনটুকু থাক


আমি তখন বরফঢাকা নির্জন লাডাকে
জমে জমে শৈত পর্বতমালা ,
শুভ্র অবগুণ্ঠনে ঢেকে গেছে আমার মলিন মুখ !
তেজস্বিনী চাতালে তখন ঠিকরে পড়ছে তোমার হলুদ জ্যোতি ,‌
আর আমার পায়ের গোড়া দিয়ে
চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ছে রক্তের সিরাম !
আয়ুষ্মানের চোখ ধুয়ে বইছে নির্লজ্জ ঝরনা !
সে এখন পাগলাঝোরা নদীর জলপ্রপাত ।
মন্দাকিনীর বুকে উচ্ছল যৌবন ।

তুমি তখনও তপ্ত-বায়ুতে শুকিয়ে দিচ্ছো
আমার ভেজা শাড়ি,
শাড়ির সাথে ভিজে তুমিও ভেজাল !
আমার পায়ের গোড়া দিয়ে চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ছে রক্তের সিরাম !
তোমার চৌকস জেল্লাতে খসে যাচ্ছে আমার চুলের বেনী,
ধস নেমেছে শরীরের উপত্যাকায়,
আর আমার সিক্ত শাড়ির বিন্দু বিন্দু জলকণা...
নীরবে আত্মহত্যা করছে তোমার সর্বনাশী অনলে‌ !
তুমি তখনও জাফরির ফাঁকে খেলছো লুকোচুরি ,
পাখির ভেজা ডানায় তোমার আদুরে গন্ধ ,
মতলবি হাওয়ার সাথে করছো বন্ধুত্ব ।

আর আমার !!
আমার মুখ জেগেছে লাজুক নতুন বউয়ের মত,
তোমার ঐ তীক্ষ্ণ বর্শার-ফলার মতো শ্যেন দৃষ্টিতে
এবার কিন্তু পুড়ে যাব আমি !