যদিও বৈপরীত্য


তুমি আরব্য রজনীর আবেগ ছুঁতে চেয়েছিলে ।
আমি হতে চেয়েছিলাম আরোগ্য নিকেতন ।
পঙ্কিল-পাপিষ্ঠের পুঞ্জবাহিকায়
আমি মৃতস্তূপ ন্যায় জবুথবু ।
হৃদয়-কর্ণিকার হৃদ ছুঁয়ে তখনও তুমি স্বপ্নীল !
সময়ের বাস্তুভূমিতে বাঁধা মনোজ্ঞশৈলী যত
তোমার আমার বৈপরীত্যে বাঁধে বিহ্বলের গান ।

আদিমত্ত প্রসবনের প্রকাশভঙ্গি
তোমার করপুটে রাখে স্বেচ্ছাচারিতার সম্মোহন !
আর , বিদগ্ধ বৈশাখী রাতে---
হৃদয় আমার হয়ে যায় হৃদ-কমলের বটকৃষ্ণ ,
তুমি পারলে ছুঁয়ে দেখতে পারো ।
পৌষালী প্রভাতে ডাক দেয় ভোরাইয়ের গান ,
তুমি তার আচ্ছন্ন-আবেগে ভাসতে পারো ।

বিবেকের-বাহুবলে বি-রচিত হয় প্রজ্ঞা যত ,
তোমার আমার বৈপরীত্যে বাঁধে
সহনশীলতার শ্লোগান ।