দেহভার উড়ায়ে অদৃশ্য জ্বীন চলে
সহর করে মানবের বিভ্রম ফলে।
তিন প্রজাতি জ্বীন আছে ধরার বুকে
বহুরূপীর গাত্র তার করে অনেকে।
আদিতে জ্বীন ছিল স্রষ্টার অনুগত
মানব চোখে তার দেহ নেই অস্তিত্ব।
ক্বারিন জ্বীন জনপদে বেড়াতে আসে
যোগ্য বসবাস তার পর্বতের পাশে।
জ্বীনদের অগ্রপিতা আবূল জিন্নাত
আগুনে তৈরী তার সকল অঙ্গজাত।
তিনশো বছরে জ্বীন প্রাপ্ত বয়সী হয়
জাতিভেদে তারা মিশে নহে সংশয়।
জ্বীনদের সংসার ধর্ম কর্ম আছে
ভাবনার সুদিন প্রেমের মাঝে রচে।
গাত্রতে হেরফের সর্পরূপী ধারণ
বিচরণ রাত্রিকালে অন্ধকার বরণ।
অবয়ব হয় যুবক প্রয়াণ সময়ে
দ্রুতবেগে সমাধি করে নবসাজে।
কৃষানুর দেহে তার বিলাসিতা রয়
মানুষের চেয়ে তারা শ্রেষ্ঠতর নয়।