জানি না কতদূরে সেই নির্ঘুম নিশি,
যে নিশি যাপিবো আমি তোমাতে মিশি।
অর্ধনিশি কেটে যাবে হাসি-তামাশায়,
তুমি সংবিৎ ফিরে পাবে তব সহসাই।
বাকি অংশের কিয়দাংশে জমিবে গল্পের আসর,
আবৃত্তি করা হবে কবিতা, গাওয়া হবে গান।
জমিয়ে রাখা গল্প গুচ্ছ হবে আদান প্রদান,
প্রেম প্রীতি আর প্রণয় গাঁথা পাবে তাতে স্থান।
রূপকথা ভেবে হাসবে তুমি মুখে গুজিবে পান,
বলবো আমি সত্য সব কথা, শোনো দিয়া তব মন।
ঘুরে আসি চলো দু'জনে মিলে মোর কবিতা কানন,
দেখবে সেথা গোলাপ বেলি জুঁই জবা কাঞ্চন।
এমনি করে চলবে রাত ভর প্রণয়ের আলাপন,
মালিক যদি কখনো মোরে তাওফীক করেন দান।
এই পর্যায়ে এসে কবি হয়ে গেল পেরেশান,
আশা আকাঙ্ক্ষা ক্রমেই যেন হতে চলেছে ম্লান।
কি লেখবে ভেবে পায় না মুখটা তার মলিন।
দীর্ঘ ক্ষণের নিরবতা ভেঙ্গে গম্ভীর স্বরে
কহিলেন কবি ভুলিনি আজো বিংশ সনের কথা,
সাহস সম্বলকে সঙ্গী করিয়া সফর করিলাম একা,
বাড়িতে গিয়ে বাবার সাথে করলাম আমি দেখা,
বললাম বাবা ঘুম আসে না,থাকতে পারি না একা,
জানিনা কবে খুলবে কপাল বাজিবে বিয়ের ডঙ্কা।
(ইতিহাসের এক পাত, তিন হাত মাটি চাপা পড়ে থাক)
নিশান্তে,কাছে আসা হবে, ভালোবাসা হবে;
কথাও বলা হবে শুধু ধরা ছোঁয়া বাকি রবে।
রাতের শেষ প্রহরে মুয়াজ্জিনেরা আজান শোনা যাবে,
দৈবাৎ পোহাবে রাত ,বাকি কথা পরে হবে।