নদীতীরে আজ আর নেই কোনো হাট
শুকিয়ে ভরাট সব নদী কূলতট
আশেপাশের নৌকা আর আসেনারে হাটে
দোকানীরা কেঁদে মরে দিবানিশি বাটে।

সপ্তাহের বৃহস্পতি মিলে যেতো হাট
নানারকম দ্রব্যতে ভরে যেতো তট
আনন্দের মিছিলে শরীক হতো সব
হাট ভাঙলে থেমে যেতো সব কলরব।

মন্ডা মিঠাই আর জিলাপির হাড়ী
কিনে নিয়ে যেতো দাদা হাট থেকে বাড়ী
পুতা পুতনি মহানন্দে খেতে যেতো বসি
আকাশেতে ততক্ষণে উঁকি মারে শশী।

একদিন নদীজল স্রোতের টানে
ভেসে যেতো দক্ষিণে সাগরের পানে
নদীগুলি কাঁদে আজ নেই কোনো পানি
পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে সব জানি।

ফিরবেনা নদী আর আগের সেই রূপে
বসবেনা হাট সেথা মহা অপরূপে
আসবেনা দোকানীরা নৌকা বেয়ে
ফিরবেনা বাড়ী তারা ভাটিয়ালী গেয়ে।