মানুষ হয়ে মানুষের প্রতি বিদ্বেষ
চোখের চাহনীতে বুঝা যায়!
কেন রে মানুষ অমন চোখ তাকাও?
কি লাভ হয় হিংসা বিদ্বেষে?
প্রশ্ন আমায় বিদ্ধ করে সদা দেখা ঐ'
অপব্যাখ্যা অমানুষ রয় কি..
কখনো ভাল বর্তমান ভবিষ্যৎ এ'ধরা?
কেন'রে অমানুষ তোরা জানিস!
মানুষ রূপ ধারণ চলিস মানুষ মাঝেই
লজ্জ্বা কি হয় না জীবন যাপনে?
কেমন মন-মানসিকতা হুসকি হয় না
দেখেও কি শিখিস না যারাই ঐ'
অবচেতনতার পথ করে অবলম্বন সেই
জীবন চলার পথটি যে একটু নয়..
ভাল। না দূনিয়া না আখেরাত; দেখেও
কি দেখ না জীবন চলার পথটিতে?
যারাই করে অপরের ক্ষতি তারা ধ্বংস
একদিন আগে আর একদিন পরে!
ভালোরা ভাল থাকে মন্দরা কষ্ট দিলেও
তার পরেও তোদের জীবন শুদ্ধির'
অবকাশ হয় না ওরে সর্বনাসা বদমাহিশ
দলবল। তোদের জন্য সমাজ অশুদ্ধ।
পশু আর জানোয়ার পার্থক্য করা যায় না
তার পরেও লজ্জ্বা তোদের হয় না।
ওরে শকূনি চোখরা তোদের জীবন রচনা
কতটা ভয়ংকর দেখা সমাজ তরে।
এই কবিতা লেখা মানবতা জীবনবোধেই
আজকের ছাত্র সমাজ পাঠক-পাঠিকা!
সর্বস্তর জনতা পড়বে আর বুঝবে কখনো
করবে না শকূনি চোখ স্বভাব নৈতিক..
চরিত্র অবক্ষয় অনৈতিক কৃতকর্ম অসত্য
ভোগ-বিলাস মিথ্যা মানুষ পরনিন্দা!
অপর মানুষকে কষ্ট দিয়ে সুখ খুঁজে ফেরা
তোদের সন্তানেরাও যে হচ্ছে একই..
পথ পথিক যুগ যুগ যাচ্ছে আর ধ্বংস হচ্ছে
কেন তোদের এমন স্বভাব বল না?
তোরা কি মানুষ হতেই বিধাতারই কল্যাণ
আশা করতে পারিস না? বল না বল!
তোদের মানুষ হিসাবে প্রেরণই বিধাতার
আশার আলো সুগমন পথ হারায়েই'
দিশেহারা অমানুষ বনে যাওয়ায় বিধাতা
কহে ওরে মানুষ তোরে এনে ছিলাম'
হবি ভাল মানুষ মানুষের মত মানুষ, সেই
তোরা হলি অমানুষ পশু চরণ অমনুষ্য।
যা তোদের লানত দিলাম অপবিত্রতা মন
দেখি কেমন চলিস কথা শকূনি চোখে?
ধ্বংস অবধারিত ঐ'রূপ জীবনবোধদ্বয়ের
শেষ হবে কখনো ঐ'অসভ্য জীবন।।
সময় থাকতে শুধরে নাও'রে ওরে টকবাজ
চেতনাবোধের মানুষ রূপী মানুষরা।
তবেই সুন্দর চোখ চোখের পরশ প্রশান্তি
শরীরের চাপ প্রসার দৈহিক যন্ত্রণার'
অবসান ঘটবে সপরিবির সুখ শান্তি বিরাজ
যথাযথ থাকবে পরিচ্ছন্ন সূখী জীবন।
একটি বার হিংসা ছাড়; অপর ভাল দেখে
করবে না কখনো বিদ্বেষ; দেখবে হবে...
এক অসাধারণ মানুষ মন' অর্জনে মন রত
কষ্ট শত পরিশ্রম সততা হাজার ফুল।
তোমাদের জন্যই অপেক্ষিত হিংসা শকূনীর
চোখ শূল পরাস্ত অপূর্ব জীবনবোধেই।।
থাকবে দেখবে দূনিয়া-আখেরাত খূবই সুখী
আপন পর একক স্বত্ত্বার অনন্যবোধেই।