কতদিন পর দেখা ছয় বৎসর বয়স যখন
ক্লাশ টু'তে পড়ালেখা করতো।
তখন আমি শিক্ষক ছিলাম ওরা দু'ভাই-বোন
পড়তে বসলেই ছাত্র-ছাত্রী মা!
নিকটে এসে বসতেন; ছোট শব্দ বলতেন স্যার '
ওদের আপনি একটু দেখবেন।
গৃহশিক্ষক হিসাবে আমি মনে করতাম স্বাভাবিক
সন্তান ভাল পড়ালেখা শেখানো।
তাই হয়তো মমতাময়ী মাতা হিসাবে দায়িত্ববোধ
সেই অনুশাসন মন ও হ্নদ প্রাণ!
উত্তাল সন্তান সুশিক্ষা অর্জন যোগ্য মানুষ হওয়া
এমনটাই শিক্ষক হিসাবে আশা।
শিক্ষক হিসাবে বলি ঠিক আছে বোন চিন্তা নহে
আল্লাহ্ আমাকে ভাল ও সুস্থতায়..
আপনার দু'টি গাঁধা একদম পড়ালেখা ভাল না
এতোটুকু বলতে পারি পাস করবে।
মাঝে মধ্যেই বলতেন স্যার আপনিই দেখবেন
আমি কখন যে কোথাই যাই ঠিক নেই।
মাথায় ভূত জুটেছে দুবাই যাবে; গেলেন ঠিকই
স্বামী ও দু'টি সন্তান সংসার ফেলে রেখে।
কমবেশী তো সংসারটি ভালই চলছিল তাদের
কেন যেন মাথায় শয়তান চেপে ছিল?
কে কার মনের খবর জানে; কি চায় কার কখন
বুঝা বড়ই মুশকিল এ'ধরায় চলাচলে।
সুন্দর সংসার সন্তান ফেলে দুবাই যেয়ে বেশ
খাঁটো শর্টপ্যান্ট-গেঞ্জি ওড়নাটি দুবাই।
যে দালাল মাধ্যম গিয়েছিল সেই দালালকেই
বিবাহ্; পূর্ব তিন তিনটি বউ থাকতেও।
এ'আবার কেমন মাতা; কোথায় মানবতা মমতা
সন্তান-স্বামী সকলেই দিশেহারা পাগল।
সেই উনিশত ছিয়ানব্বই সনের কথা আজ চব্বিশ
মেয়েটির বয়স এখন ঊনত্রিশ অবিবাহিত।
লেখাপড়া তেমন করতে পারেনি মা হারা হলে যা
তাই ঘটেছে ওদের জীবন চলমান ধারাতে।
মেয়েটির বিবাহ সম্বন্ধ আসে ঠিকই মায়ের ঐ'কথা
ঘটনা শুনেই বিবাহ্ নামক সুন্দর শব্দ পন্ড।
কেউ মেনে নিতে পারে না বিবাহযোগ্য মেয়ের মা
তার নাকি ঐ'রকম অসভ্যতা ভরা কর্মকান্ড!
পূর্ব থেকেই আর্থিক অবস্থা তেমনটা স্বচ্ছল ছিল না
পরিবেশ ওদেরই একটু ভিন্ন ধরণ স্বাভাবিক।
সমাজ বুকে পিতা-মাতা-সন্তানপ্রতি অসাধারণ মন
সেই মনেও পাথর চাপা সত্যই অবাক লাগে।
হে আল্লাহ্ রক্ষা করো মাতা-সন্তান সামাজিক বন্ধন
এমন যঘন্ন ঘটনা না ঘটান মাতা সন্তানপ্রতি।
******************************
বাণী: মানুষ সব সময় মানুষ না হতে পারে। মানুষ একদিকে মানবতার কথা বলে। অপর দিকে নিজ পরিবারকেই ধ্বংস করে। এমন মানুষ পরিবেশে অভাব কম কি। আবার ভাল পিতা-মাতার সংখ্যাও কম নেই সমাজের বুকে। তাই সমাজে যখন মাতা-পিতা হবে। সেই থেকে আর নিজের মধ্যে থাকাটা নয়! সন্তান ও পরিবার পরিজন নিয়ে আত্মঃমর্যাদায় জীবন যাপন করাটাই উত্তম। কোন অসভ্যতায় মন চাওয়া-পাওয়া কাম্য নয়।