কি আর লিখব কবিতা
নেই কোথাও মানবর্ত!
সর্বক্ষেত্রেই স্বার্থপরতা
স্বার্থের টানেই প্রেমকথা।

স্বার্থ ব‍্যতিত অমাধবতা
কেমন মানব চরিত্র দেখা
কোথায় মানুষ মনুষ‍্যত্ব?
সুবিবেক হচ্ছে তৈরি কি?

আপনে আপন অসভ‍্যের
পরিচয় সদা দেখা বৈষম‍্য
ওরাই দেশ জাতিতে রত!
কর্ম-কান্ড-নের্তৃত্ব-নেতা দল
সেই সকল অসভ‍্যরা হবে।

তারা মানুষ সভ‍্যতা যুগ?
পরধন আর পরচর্চা ওরাই
দেশরত্ন কথা কলি একক
সুযোগ পেলেই লুফে নেয়!
অর্থ-মা-বোন ইজ্জ্বত ভ্রূণ।

আ-হা-ক-ত-ভা-ল-মা-নু-ষ!
বিধাতার বিধান করে ভঙ্গ
সেই না তাদেরই দেখা ধর্ম।
অতি পবিত্র দানবীর ধনবান।।

আমার বড়ই লজ্জ্বা পায়
ওরাই হয় নাকি ধর্মপ্রাণ সেবক!
মানবতা জীবনবোধ চরিত্র!
পথের পথিক শেষ ভরসা কথা
এক সময় ছিল না কিছুই।

সেই লোকরাই রাতারাতি ধনী
কেমন করে কোন নেশায়?
পারলো হতে দিগন্ত উদ্ভাসিতের
আমি ভাবনার জগত খানায়
একধ‍্যানে ভাবনারত ভাবনায়
পাই না খুঁজে কোন মানুষ!

বেশির ভাগই নেশাখোর যোদ্ধা
ওদের নেই কোন বিধাতা।
ওরা পাষন্ড শুধুই বোঝে পাপ
পূর্ণতার নেই কোন বালাই।

তাই তো ধ্বংস একদিন হবেই
অবধারিত জীবনবোধ তরে।
ওদের অমানবতা কর্মকান্ড হ্নদ
ভুল পথপথিক সভ‍্যতা অন্ধ!

বিচার ওদের একান্তই অবিচার্য
সেই মনপ্রাণ ঘৃণায় জরজরিত
"কবিতা আর লিখতে ইচ্ছা করে না"
কেন করে না শোনেন সকল।।

মানুষ হয়ে মানবতা গীতগায় দেখি
সদা সর্বত্র জন জলসায় কত!
আওয়াজ-উচ্চ-স্বর গলা ফাঁটায়েই
সরগরম অন‍্য জনতা ভোলানো।

কি যে দেশপ্রেম ওদের দেখা।
সেই হতেই ঘৃণা জন্ম আর দেখা
লিখতে ইচ্ছে করে না কবিতা।।