কবিদের জন্যেই চাই একটি বসিবার ঘর
কবিদের জন্য চাওয়া অনন্য বাস।
কবিরা লেখেন বাংলায় কবিতা জাগতিক
ভাবনা ধারা বহমান এ'বাংলার।
বাংলা ভাষার জন্য তাজা রক্তের বিনিময়
শত হাজার ভাষা-সাহিত্যিকগণ!
প্রাণ দানে শহীদ হয়ে অর্জিত এ'বাংলার
মাতৃভাষা বাংলা ভাষা বাঙ্গালী।
তাই তো কবি-সাহিত্যিক খুবই গুরুত্বপূর্ণ
মর্যাদার দাবীদার বাংলাতেই।
একটু খেয়াল করে দেখলেই বুঝতে পারি
দেখেন সকল জনতা কয় জন!
চর্চা করছেন বাংলা ভাষা অধিকার সংরক্ষণ
এই বাংলা ভাষাকে চির অটুটে?
কবিরা যা লেখেন যতটুকু লেখেন প্রকাশে
নিজস্ব আয় অর্থদ্বারা একক..
যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশ করত পাঠক-পাঠিকা
দ্বারপ্রান্তে পৌঁচ্ছিয়ে সতেজতায়!
এক অনন্ত ভূমিকা পালনে গুরূদায়িত্ব পালন
করে আসছেন নতুন পুরাতন কবি।
ভাষা হল একটি দেশে অনেক বড় শক্তি যা
সত্যই অতুলনীয় এক অনন্য প্রকাশ।
সেই ভাষার মর্যাদা রক্ষায় একমাত্র কবিরাই
ধরে রেখেছেন মহত্বতার হ্নদয় হতে।
ভাষা সৈনিকদের মর্মস্পর্শতার পরিচয় বহণ
ধারণ কবিরাই মন-প্রাণ কলম-কালি!
কর্মময় জীবনের শত ব্যস্ততারই মধ্য দিয়েও
যখনই সময় ফুসরত তখন কলম চলে..
কবিতা রচনায় মানবতাবাদী-জীবনমুখী,গদ্য-ছন্দ
গল্প-রম্য-দেশাত্মবোধক-ধর্মীয়-বিরহ..
সেই কবিদের মর্যাদা কোথায় রয়েছে এ-বাংলায়
এ'সকরকার বা সমাজপতি কি জানে না?
কোথায় গুণি সকল লেখকদের স্থান মান-মর্যাদা
খুবই লজ্জ্বা পোষণ মনটি কি বলবো?
কোথায় মানবতা দেশ স্বাধীনতা ৫৩ বৎসরের
চলমানের মধ্য দিয়েও হয়নি ঠাঁই!
তেমন মান-মর্যাদা-না সম্মানি-ভাতা-যা সবই
নিজস্ব উদ্যোগেই পরিচালিত বহমান।
তাই তো বলছি কবিরা না পায় যদি দেশ-মান
মর্যাদা কি করে বাংলা ভাষা চর্চাধারা!
প্রকাশ প্রসিদ্ধি লাভ প্রকৃত বাংলা সংস্কৃতি-কৃষ্ঠি
কালচার-এলাকা ভেদ আঞ্চলিকভাষা।
গান-বাজনা-নানান সাংস্কৃতিক যাত্রাপালা মেলা
পৌষ-পাবণ্য-উৎসব-বিনোদন-সভ্যতা।
তাই তো কবিদের চাওয়া বেশি কিছূ নয়তো শুধু
এতো টুকু চাওয়া-পাওয়া যেন পেতে!
ধারণে বুক মাঝে জয়-জয়কার বাংলা ভাষা কলম
সৈনিক মর্যাদার ভাষা সৈনিক ভাতা।
কবিরা যেন কবিতার অনুষ্ঠান করতে পারেন সেই
অনুপ্রেরণার মঞ্চ বিনা ভাড়া চর্চাঘর।
ভাল লেখক হিসাবে কোন দলবল নয় নির্বিশেষে
নিরপেক্ষ বিচারের আলোকে কবিত্ব।
সেরা লেখক কবির মর্যাদা-সম্মানি লেখায় উৎসাহ
যোগাতে আহবান বাংলা একাডেমীর!
ব্যবস্থাপনার যথার্থ সুব্যবস্থাপনার আলোকবর্তিকায়
এই তো চাওয়া কবিদের বেশি কিছু কি?
*****************************
বাণী: ভাষার জন্য প্রাণ দিয়ে যে সকল সম্মানী ভাষা সৈনিক শহীদ হয়েছেন। তাঁরা আজ নেই; তাদের অবর্তমানে ভাষাকে বিশ্বদরবারে পৌঁচ্ছিয়ে দেওয়ার তৎপরতায় অবিচল বাংলা ভাষার লেখক-কবি-সাহিত্যিকেরা। আর তাই কবিদের মর্যাদা ভাষা সৈনিকদের অবর্তমান ভূমিকা কম কিসে! সেই প্রেক্ষাপটে লেখকদের মর্যাদা ও সম্মানী প্রদান সংশ্লিষ্ট্য রাষ্ট্রের কাম্য।