গ্রামের বাড়ির মহল্লার নির্ধারিত স্থানীয় ভাবে সাপ্তাহিক
হাট-বাজার বসে কখনো শনিবার-বুধবার-সোমবার ও
বৃহস্পতিবার-শুক্রবার গাঁ নিকটবর্তী তিনটি হাট আজও
ঐ'একই নিয়মে চলমান। কত যে পারিবারিক কথা মনে

পড়ে। স্কুল হতে বাড়ি ফেরার প্রাক্কাল‍্যে পথি মধ‍্যে হাট
আদেশ-মাতা-পিতা বাজার নিয়ে আসতে বাড়িতে। মা
বলতেন বাবা পান সুপারি নিয়ে এসো; অবশ‍্যই আনবে।
সাথে তরিতরকারী, মাছ, পিয়াজ, রসূন, আরো অন‍্যান‍্য।

হাটে যাওয়ার সময় কখনো-সখনো হাতে ধরায়ে দিতেন
মেজচাচী মা দুধের হাড়ি বিক্রি করে বাজার করে আনতে।
হাসি মুখটিতে খুঁশি মনে হাত বাড়ায়ে তুলে নিয়ে রওনা
হাট-বাজার অভিমুখে সাথে মিলতো যদি সহপাটি কেউ!

বড়বড় কদম পা বাড়ায়ে হেঁটে যেতাম দ্রুত হাট-বাজার
কেন দ্রুত হাটে যাওয়া ব‍্যস্ততা? বিকালের মধ‍্যে বাড়িতে
এসে বাজার মা-চাচী মাকে বোঝায়ে দিয়েই ছুট যেন ঐ'
ছোট্টবেলার একমাত্র বিনোদন বাড়ির নিকটবর্তী ফুটবল

খেলার মাঠ। মহল্লার ছোট-বড় একত্রে কত হৈ চৈ হুল্লুর।
ফুটবল খেলা শেষে সন্ধ‍্যা ঘনিয়ে মাগরিবের আযানের
ধ্বনিত হলে পশ্চিম গগণ মসজিদ মিনার হতে। নামাজ
কায়েম আহবান। নামাজ শেষে পড়াশোনা মাগরিব পর।

একটা এশার আযান পর্যন্ত এমন করেই ছাত্র জীবন ধারা
একজন ছাত্র হয়ে করেছি পরিবারকে সহযোগিতায় কাজ।
না করিনি কখনো আপত্তি অজুহাত কোন কাজ-কর্ম যথার্থ
শুভকামনা পেয়েছি তাই একে অপর সকল জনার হতেই।

এমন করেই সুন্দর জীবন কামনা পরিবার বন্ধন সহমত
এখনো মনে পড়ে সেই ছোট্টবেলাকার হাট-বাজার স্মৃতি।
নিজ হাতে করেছি হরেক রকম বাজার-সদাই খেয়েছি
গজা-মজাদার খাজা। আনন্দ করেছি বেশ সহপাটি দল।

তাই তো স্মৃতির মনিকুঠিরে স্মরণে জাগলো ছোটবেলা
পঞ্চাশ ততো অধিক বয়স হয়েছে এখন দেখতে পাওয়া।
আমি ও আমরা অতীতে হাট-বাজার করতে যেমন সতেজ
সব রকম বাজার পেতাম। এখন কি আর পাওয়াটা দায়।

কোথায় যেন হারায়ে যাচ্ছে সেই হাট-বাজার প্রজন্মরা
হারাচ্ছে সব রকম অতীত সুন্দর বন্ধন মহত্ত্বতা পরিবার।
*********************************
বাণী: হাট-বাজার খুবই সুন্দর একটি বিনোদন মূলক ও অর্থ লেন-দেন (বেচা-কেনা) গ্রাম‍্য নির্ধারিত একটি বিশেষ ব‍্যবসায়িক প্লাটফর্ম। যে স্থানটির মাধ‍্যমে ছোটবেলা হতে বেড়ে উঠা সন্তানেরা তাদের জীবনে বেড়ে উঠার সাথে সাথে জীবন জীবিকার একটি বড় ধরণ অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকে। তাই হাট-বাজার মানব জীবনে অনেক গুরূত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণও বটে।