কি আর বলি দেশের কথা দেশ যেন মগের মুল্লুক
যে যা পারছে সেই তা করছে।
এই কি দেশ চেতনার দেশাত্মবোধক জনতা দল?
কোথায় কোন ধারায় কে সেই'
মানবতা কথা বলার রয় অধর্মরা ওরা ধর্ম নামক
অধর্ম চর্চা ব্রতঃ সন্নাসী সাঁজ!
মুখে বলে দেশ আমার, আমার বাবার, মায়েরই
ভাই হারা, স্বজন হারা কতকষ্ট'
মায়া কান্নায় মায়াবী মমতাময়ী মানুষ গুলিকে ঐ'
মায়ার হিপনোটাজস জাদুখেলা!
হ্নদয় হরণ কথা কিচ্ছা শোনানো সরগরম যেথা
জনগণ জন সমূদ্র জলসা স্ট্রেজ!
সেথায় বিধাতার নাম নয় মুখে শুধুই দেখা মেলে
একে অপর প্রতি বদনাম যথার্থ।
কেন'রে জনতার রায়ের রাষ্ট্র পদ-পদবী দলেরা
পরের ধনে পোদ্দারী নিজস্ব বল'
তেমনটা থাকে না শক্তির সামর্থ, কর্মফলও নয়
ভাল, মন্দে ভরা সর্বস্তর সে'তারা!
অহংকার হিংসা জোর জুলুম এক নায়ক তন্ত্রের
অশুভ অদেখা অপদার্থ রচনা চর্চা।
হত্যার মত অপরাধ জগৎ আয়না ঘর শাস্তিরই
সাজঘর স্বাধীন দেশ ঐ'টা কেমন?
স্বাধীনতা অর্জন কেউ বলে পাকিস্তানী মদদের
কেউ বলে রাজাকার, কেউ আলবদর!
এমনও কথা বলে ভাষা উচ্চারণ মুখ যেন এক
নবান্ন উৎসব বিশেষ রাজনৈতিক নেতা!
এই দেশ বাংলারই সবাই নাকি রাজাকার ওরে'
দেশপ্রেম-প্রেমী মানবতা মুখোশ আড়াল'
শয়তান ভরা বদমাহিশীর অশুভ মানুষ-অমানুষ
মানবতার সেবার কথা বিপরীত অপকর্ম!
টিকটক চেতনার শুভ-সূচনা হয়কি কখনো সফল
এ'জাতির নীতি-নৈতিকতা প্রশ্রয়-আশ্রয়।
দীর্ঘ সময় ক্ষমতার দাপট অশুভ-সূচনা কঠোরতা
মনোভাব নিজ দলবল ফাটল জনতাতে।
সেই চেতনার অপর নাম অনন্য সভ্যতা অসভ্যতা
মেনে নিতে অপারগ সেই সত্যের পথ।
ফাটল ধরানো পথের ছাত্র-জনতা-সাধারণ মানুষ
সর্বস্তর যেন নিপীড়ন নির্যাতন অধৈর্য!
পথহারা দিকহারা রাষ্ট্র বেহাল এমন পরিপন্থী সব
যেন একাকার স্বৈরাশাসক হঠাও এবার!
তাই তো জনতা টোপের মুখে দেশ ছাড়তে বাঁধ্য
স্বৈরা-শাসক দলবল নেতা সকল জ'না।
মাতা-পিতা-ভাই-আত্মীয়-স্বজন-সকলের হত্যার
বিচার সুযোগ পেয়ে করেছে নিয়েছে।
তার পরেও কেন জনতার অধিকার খর্ব কেন নয়
সচেতনতা এ'ধরার বুকটিতে হায়'রে!
অপদার্থ এই নাকী জ্ঞানী সভ্যতার মুখোশ পরিহিত
যত ছিল ক্ষোভ মিটায়ে নিয়ে ছিলে।
জনতার কষ্ট হলেও মুখফুটে কেউ প্রতিবাদ করেনি
ভেবে ছিল অতীত ঘটনায় অপরাধী।
শতধা মানুষ মানতে পারে' দুশধা কখনো মানতে
এতো সুযোগ বিধাতাও দিতে চান না।
মানুষ মনুষ্যত্ববোধের হলে বুঝতে সক্ষম সেই মন
বুঝমান সভ্য স্থিরতা স্বীকার সংশোধন।
হতে পারত মানুষের মত মানুষ, দেশপ্রেম অনন্য
পশুমন যতই পাক না সুযোগ অমানুষ!
সেই সকল মানুষরা দলবল রাজনৈতিক চেতনার
অতি উৎসাহিত ধ্বংস অবধারিত যথেষ্ট!
তাই তো টিকটক পার্লামেন্ট পোকা-মাকড়সাতেই
সরগরম টিকটিকি মানসিকতা অবসান।
******************************
প্রিয় কবি-সাহিত্যিক ও পাঠক-পাঠিকাগণকে ঊনসত্তুর পর্ব পাঠে আহবান রইল।