সুবিবেচনা বিবেচক মানুষ হও তুমি
কোথায় রয় তোমার সেই মন?
এমন কর্ম করো বিবেক হারা হৃদ
ভাবতে অবাক লাগে সভ্যতায়!
এই বলো মুখটি দিয়ে খুব বেশগুণি
হাজী হজ্জ্ব করেছো বেশ ভূষা;
স্বভাব যায়নি অতীত খাসিলত মনটি
কেমনে পূর্ণ হয় পিপাসিত তৃপ্তি।
অভাব ছিল কত অর্থকড়ি ধনরত্নের
বিধাতা দিয়েছে শুকুরিয়া করিও।
সেই না মন-হৃদয়-আত্নার সুখ-দুঃখ
আজ পেলে কাল ভুললে চলবে?
কেমন করে করে হলে সভ্যতা বিলাপ
অমানুষে সেরা কোথায় হজ্জ্ব?
চরিত্র-মনুষ্যত্ব-সুবিবেক-বিবেচ্য-মানুষ
জীবন চলার পথ সহজ কর।
দেখবে সবই সহজ সুবিবেচনা মানুষেরা
নিজে হই বিবেকবান সর্বোত্রে;
সেই মন-চরিত্র-আখলাক-উন্নত-জীবন
মানবতা ছড়াবে সকল জনায়।
ওরে বোকা করেছিস বোকামী আজীবন
এখন তোর বয়স পঞ্চাশ ধর!
মানুষ হয়ে কত মানুষের করেছিস ক্ষতি
সেই পাপ কেমন করে শোধরাবী?
হাজার বার করলেও হজ্জ্ব্ব হবে কি মুক্তি
একবার কি দু'বার করলি হজ্জ্ব!
মসজিদ-মন্দি সেবা লোক দেখানো মাত্র
সেই চরিত্র ফুলসূরাত হবে কি?
সতী-পতি-সুন্দর-সদারাম-বেহেস্তবাস
হতাভাগা লক্ষী নারায়ন গল্প!
আদব-কায়দা-হদস-ছাড়া-দলবল-সকল
মিলে-মিশে চল কেন নয় নরক?
সভ্যতার কথা বল মুখটি ফুঁটে সর্বোত্রেই
আসল কথা ছেড়ে নকল নাও!
শোভা ছড়াও সারা পাড়া-প্রতিবেশী খুঁশি
এ কেমন শিষ্ঠাচার এ'ধরায়?
××××××××××××××××××××
বাণী: চরিত্র এমন একটি স্বভাব মানুষদের আমরা! একবার মন্দ হয়ে গেলে তা আর হাজার সাবান-সোডা-সুগন্ধী-প্রসাধনী-দ্বারাপরিস্কার করলেও সম্ভাব হয় না শোধরানো। সেই সকল লোকেরা ধন-সম্পদ হলেই ব্যাশভূষায় যতই নাম-দামী হউক না কেন! মক্কা-মদিনা তাওয়াব করুক না কেন; সমজিদ-মাদ্রাসা-মন্দির-গ্রীর্জায় ভোগ দিক না কেন। সবক্ষেত্রেই মন থাকে অন্যায় পথটান। ঐ'সকল লোকদের কি সভ্যতা আর কি অসভ্যতা। সব গুলি দিশেহারা মানুষ ওরা। ওদের শোধরানো সর্বশেষ স্থান হল শেষ ঠিকানা। তার পূর্ব পর্যন্ত যতদিন জীবিত থাকবে ততো দিন ঐ'ভাবেই বসবাস করবে। এর কোন ব্যয়িত ঘটবে না। আর সেই সকল বিয়াব মানুষ হতে সাবধানতা অবলম্বন করেই চলা সর্বোউত্তম।