বাউলিয়ানা দিন
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
এই যে এমন
অলস দুপুর পারে, ছিপ হাতে এক
মাছের খোঁজে থাকা ;
তোমার কাছে
হয়তো ভাজা খই, আমার তাতে
দিনগুলোকে রাখা।
বনমহুয়ার
কাব্য করে ধার, এই যে আকাশ
ভাসছে ফাঁকে ফাঁকে ;
হয়তো তাকে
ভাবছো দূরের নীল, তাতেও কিছু চিলের
গপ্পো থাকে ।
ঐখানে ঐ
ধানের চারা হাসে, পিছল রোদে
হাঁসগুলো জেরবার ;
এবার না হয়
আধেক চোখের নেশা, কড়ি-কোমল জন্মাবে আরবার।

রোদের শব্দ
ভাঙছে ঘাসের ঘুম, জলের পোতায়
কলমি শাকের ভাঁজ ;
হিসেবনিকেশ রাখুক গৌরীসেন, হচ্ছি আমি
ছন্নছাড়া আজ !
ক্লান্ত কামিন
ফিরছে চুলোর ধারে, কাঠ-গোবরে
ধোঁয়া ওঠা ভাত ;
বিত্ত রাখুক নদের নিমাইচাঁদ, চিত্ত নিল
দাসখতে দুই হাত ।
তোমরা নিও ধান্য-দূর্বা-রাধা, যাযাবরের
কীসের আবার ভয় ;
জলের বুকে বাউলিয়ানা দিন, লিখে রাখুক একটু পরাজয়।

বনবাবুইয়ের
ঠোঁটে ধরা জল, নষ্ট মদে চুমুক
দিলাম আজ ;
আমায় মাখুক বাদলগাছির জল, স্বর্গ থাকুক তোমার মহারাজ।


>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>ঝালকাঠী।।
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>০৬/০৮/১৫খ্রিঃ।।