পিরিতের বুঝি
এইমতো ধারা এমনই কাঁদতে হয়
ধানসিঁড়ি বলো সন্ধ্যার জলও
কোন নদী ঠিক
যমুনার মতো
নয়
ভুলি ভুলি করে তুলতে কি
পারো
একঘটি নদীজলও
যত পায়ে ঠেলো পায়ে পায়ে
ছায়া
রাতগুলি থেকে ঠিকই ধরে নেয় আলো

এতো দেখা এতো
মানুষের ভিড়ে
ভাবলে অবাক হই
শেষ পাতে ঠিকই তুলে নেয় মন
একটু স্মরণও দই
এতো প্রযুক্তি এতো যে যুক্তি
এই এতো
দেখাদেখি
উজানের জলে মাঝে মাঝে
তবু
বাদলগাছিরে আঁকি
এই ওঠাবসা
এই মাখামাখি
সামাজিক কোলাহল
রোদ্দুর কয় তবু বাতাসেরে ; পালকের কথা বল

কখনও কখনও
ইচ্ছেরা কয় লিখতে তোমার
পদ্য
যদিও মননে খুঁটি গেড়ে আছে
সমকাল সেঁচা
গদ্য
অধুনা কালের কবি আমি তাই
আমার হাত পা
বাঁধা
না হলো পদ্মা না হলো
যমুনা
ক্ষমা করো নদী ; ক্ষমা করো অনুরাধা

কেঁদে কেঁদে বলি
ও মহাজীবন
স্মৃতির কবর খোঁড়
গোর খোদকের কোদালে তখন
বিদ্যাপতির ঘোর-

"এ ভরা বাদর    মাহ ভাদর
      শূন্য মন্দির মোর"

.......................ঝালকাঠী।
      ১৪/০৬/১৫খ্রিঃ।।