কাঁদবে কেন
কাঁদতে নেই
তোমার আকাশ আছে
আকাশে
চাঁদ আছে মুঠো মুঠো জোস্নার
সম্ভাবনা নিয়ে-
তুমি কাঁদবে কেন
কাঁদতে নেই- নারী
তোমার তেরছা চোখ আছে
চোখের মধ্যে
ধরা আছে সাতসমুদ্দুর
তেরো-নদী এবং একগুচ্ছ রাজহাঁস

কাঁদবে কেনো
কাঁদতে নেই- বালিকে
তোমার কলাশ্রয়ী আঙুল আছে
মিহিন নখে করে
ইচ্ছে মতো তুলে আনতে পারো
নীলিমার নীল
তোমার বুকে
চিৎ হয়ে আছে কোমল বাতাস
চাইলেই শিস কেটে
তুলতে পারো শিল্পিত সুরের
সেলাই
দু'চোখে তরতাজা রোদ্দুর নিয়ে-

কাঁদবে কেনো
কাঁদতে নেই- সাবালিকে
তোমার সামনে ঘাস হয়ে পড়ে
আছে
রামধনু রাজপথ
চাইলেই তুড়ি মেরে ছোটাতে
পারো
বখতিয়ারের ঘোড়া
আলতা মাখা পায়ে
ইচ্ছে হলে নাচাতে পারো সম্রাটের
সুরমা
দু'ঠোঁটে গোলার্ধ নিয়ে
অনায়াসেই ছুঁয়ে দিতে পারো
স্বপ্নের দ্রাঘিমা
মেহেদির মৌসুমে রাজদ্রোহীর দুঃখে-

কাঁদবে কেন
কাঁদতে নেই- যুবতি
কান্নারা বড় বেশি কাব্যভুক

৭/০৬/১৫
ঝালকাঠী।।

উৎসর্গ: কোন এক কাব্য-বালিকাকে।।