হে বৈশাখ তোমার আগমনে আজ
এ ধরা রঙিন সহস্র পরাগ রেনু দিয়ে
তুমি এলে আনন্দ কেতন উড়িয়ে
প্রশান্তিরর বার্তা নিয়ে।
একটি বছর পর আবার তুমি এলে
পিছনে ফেলে তোমার যত হাসি-কান্না
রাখবেনা হৃদয়ে গত বছরের
ঘটে যাওয়া যত ঘটনা।
তুমি এসেছ তাই নব কিশলয়ে
তরু পল্লবে জেগেছে প্রানের স্পন্দন
তোমাকে বরিতে বৃক্ষশাখে
লেগেছে জোয়ার কচি পত্রের আবাহন।
ঋতুচক্র শেষে তুমি এসেছো দ্বারে
আগামির রঙিন প্রত্যাশা আর সম্ভাবনায়
ফুলের ডালি সাজিয়ে রেখেছি
ভালবেসে তোমায় স্বাগত জানায়।
বহু প্রতীক্ষা, বিঘ্ন-বাধা পেরিয়ে
আবারো এসেছো তুমি ফিরে
রাত্রি শেষে প্রভাতী সোনাঝরা ঊষালগ্নে
কি যে আনন্দ, আহ্লাদ আজ তোমায় ঘিরে।
হে বৈশাখ তুমি এসেছ তাই
ধুম পড়ছে ইলিশ আর পান্তার হাড়ি
পথে-প্রান্তরে হাজারো যুবতি
পরনে লাল পাড় সাদা শাড়ি।
উদাম চুলে বেলীফুলের বেনী
বর্নময় টিপ কপালে
এযেন হাজারো সাদা পরী
নেমে এসেছে ভূগোলে।
পায়ে মল বাহারি সাজে
পদচিহ্ন এঁকেছে রাজপথে
খোঁপায় ফুল দুলয়িত মন
বর্নিল চুড়ি তাদের হাতে।
নেই পিছিয়ে যুবকেরা আজ
সাজিয়ে তার পাঞ্জাবি পাজামা
চলেছে হায় কোন অজানায়
বাজিয়ে সাজের দামামা।
হই হুল্লোড় আর বন্ধু বান্ধব
নতুবা প্রেয়সীর হাত
একসাথে সব করি আনন্দ
ভুলে সব জাত পাত।
হে বৈশাখ তোমার আগমনে
খোকা-খুকির বাধ ভাঙা আনন্দ
ভাসিয়ে দিয়ে হাসি শুধু ঘোরাঘুরি
ভাল হোক কিংবা মন্দ।
তাদের খুশির ঢল নেমেছে
গ্রাম্য বৈশাখি মেলায়
চড়ে নাগরদোলা, দেখে আর হাসে
করে নানান খেলা।
বাঁশের বাঁশির মধুর সুরে
হারিয়ে মন বিবশ দেহে বশে
বৈশাখি উৎসব দেখে মনের আনন্দে
মিষ্টি খায়, এটা সেটা আর খুশিতে শুধু হাসে।
তার হাসিতে সমগ্র ধরনী
মোহিত হয়ে রয়
খুশির আর হাসিতে দেশের মাঝে
প্রশান্তির অনিল বয়ে যায়।
হে বৈশাখ আবার তুমি এলে
ফুলে ফুলে ভরে গেল পুষ্প গহন
পাখিরা গায় মধুর সুরে
কান পেতে শোন ঐ ভ্রমরের গুঞ্জন।
হে বৈশাখ তুমি এসো বারবার এসো
বিরাজ কর আমাদের মাঝে
তুমি থাক প্রতিটা ক্ষণে
কপালে পরিয়ে দিলাম টিকা রাজে।