মা.....মাগো কেউ কি আছেন ভিতরে?
কে? কে রে এই অবেলায় ডাকে আমারে?
আমি মা, পাশের বস্তির ছেলে লালু
চাই যে খাবার একটু মাগো ভাত কিংবা আলু।
যা যা জ্বালাসনা এখন দুর হ হতচ্ছাড়া
আর যেন না শুনি তুই নাড়িয়েছিস এই কড়া।
মাগো একটি বার শোন; শোন আমার কথা
তোরা ছাড়া কে বুঝবে এই গরিবের ব্যাথা।
দুদিন ধরে খায়নি কিছু আমি ও আমার মা
আবার জ্বালাচ্ছিস বলছি তোকে এখন তুই যা।
রাস্তাঘাট কেবলি ফাঁকা জনমানব শুন্য
চারিদিক ধূ-ধূ মরুভূমি লোকালয় যেন বন্য।
নেই কোন কাজ নেইযে খাবার ক্ষুধার জ্বালায় মরি
দে না আমায় একমুঠো ভাত পায়ে মাগো ধরি।
হোক না কম তবুও দে একটু ভাত ডাল
দুদিন পেটে পড়েনি দানা খেয়েছি কলের জল।
বাঁচিস কেন মরিস না তোরা এই মহামারীতে
দুর হয়ে যা এখান হতে যত সব হাড় হাভাতে।
শুনছি দেশে এসেছে নাকি এক ভয়াবহ মহারোগ
শতশত লোক মরছে করছে সবাই শোক।
তুইও কি বাঁচবি সারাজীবন মাগো এই ধরনী পরে
আমার মত তুইও একদিন যাবি কিন্তু ঐ গোরে।
কিসের এত দম্ভ তবে কিসের বাহাদুরি
থাকবে কোথায় এই সম্পদ যাবি যখন পৃথিবী ছাড়ি।
এই বিপদেও আছিস ভাল আছিস মহাসুখে
যত কষ্ট আমাদের ঘাড়ে থাকবো মোরা দুঃখে।
হবেনা দিতে খাবার তোদের তোরাই শুধু খা
যা হয় হবে আমাদের কপালে প্রভু রেখেছে যা।
বলতে বলতে লালু চলে আবার ফিরে চায়
গিন্নী রাগে গরগরিয়ে দরজা দিতে যায়।
এমনো হাজার লালু আছে না খেয়ে অভুক্ত
পারছি কি মোরা এমন গরিবের করতে ক্ষুধামুক্ত?