বাস্তবের পথ খুঁজি
এস এম জহিরুল ইসলাম
গ্রাম থেকে এসেছি শহরে
আমি থাকি মিরপুর,
মেজদা ভাই থাকে বাংলাবাজারে।
শীতের সকালে ঘনকুয়াশা ভেদ করে
রক্তিম সূর্য উকি দেয় সবে,
হঠাৎ মোবাইলের শব্দে সুখের নিদ্রা ভেঙ্গে দেয়।
দাদা বলে তোর দোকানে হবে আসতে,
তাই ফ্রেস হয়েই ছুটছি প্রভাতে।
হঠাৎ দেখা হল পথিমধ্যে এক হতভাগা-
তার গল্প শুনে চোখে দেয় জল দেখা।
ছেলেটি বলছে-----
১২ বছর বয়স আমার
নামটি হল সাইফুল, জন্ম হল জয়নদপুর
সময় থাকতেও নষ্ট হল জীবন গাছের মুকুল।
দু:খ নিয়ে জন্ম যখন এই ধরা তলে
সুখের সন্ধানে ঘুরে ফিরে,
বুক ভেসে যায় আাঁখি জলে
অহর্নিশি নিশিতে আঁধারে।
জন্মদাতা পিতার পায়ে ধরল পঁচা রোগে
পরিবারের সব সদস্য কষ্টে তাতে ভোগে,
বড় ভাই কাজ করে এম্ভ্রোডারিতে
পড়ার ইচ্ছা থাকা সত্তেও কাজ করি লাইব্রেরীতে।
রজনী গভীর, শান্ত হলে,
সকল প্রদীপ যখন দেয় নিভিয়ে
শত বেদনায় যায় পড়ার টেবিলে,
ঘরেতে ছোট্ট পিঁদিম জ্বালিয়ে।
বোনের বিয়ের যৌতুকের টাকা
মায়ের চোখের জল,
বোনের লাল বেনারশি শাড়ী পড়ানো
আশার স্বপ্ন নিয়ে ভাবি সারাক্ষন।
দিনের রক্তিম সূর্য পশ্চিম দিগন্তে অস্ত যায় যখন
আঁধার রজনীতে বাস্তবের পথ খুঁজি,
তাই বোধ হয়- লোচনে জল করে টলমল।
সব ভাবনা কে লাথি মেরে দিনেতে খুঁজি কর্ম,
তাতেই জীবন ধন্য হবে এই শুধু বাস্তবের ধর্ম।