কেউ জানে না কারো দুঃখের সমুদ্র কতটা টালমাটাল
ফ্যাদোমিটারে অনির্ণীত গভীরতা এবং মাকড়সার জালের মতো আষ্টেপৃষ্ঠে শাখা-প্রশাখার বিস্তার।
তাইতো নিদাঘী তৃষ্ণায় কেউ কেউ হাফিয়ে উঠে বলে-
এ কেমন পৃথিবী, বিস্তৃত বালুকাময় কেবল-
এক ফোঁটা জল নেই চোখে বিষাদে অনল।

রেলজংশেনে শয্যাগত অনাথ শিশুটির সমুদ্র-সন্ধান কেউ রাখে না।
পাথারঘাটায় বৃদ্ধার ফোস্কা হাতে তালুবন্ধি পৃথিবী;
নিরাশার বিস্তৃত বেলাভূমি,
এবং ঢেউয়ের ভাঁজে বিলুপ্ত স্বপ্নালোক,
সর্বগ্রাসী জলপ্রহারে প্রতিমুহুর্তে ভারসাম্য হারায় সেরিবেলাম।
তবুও প্রদীপ্ত সূর্যের আহ্বানে রোজই ওঠে দাঁড়ায় আলোর মুখোমুখি।

ঐ-বৃক্ষ জানে কারো ব্যথার সমুদ্র কতটা গভীর হয়,
প্রবাল তুষারাদ্রি জানে অই যুবকের কাব্য সারকথা
যে প্রতিদিন পথে নামে চাকরীর খোঁজে।
কসবীর শিরোনামে বেঁচে থাকা বণিতার সমুদ্র-দ্রাঘিমা মানবিক দায়ে ম্লান।
তবুও কত সহজ সাবলীল জীবন যেন
কত হাসিতেই মুখর মুহুর্ত
অথচ কেউই জানে না তার অবচ্ছায় টলোমলো কত অগাধ জলরাশি।

২১.১১.২০১৪ ইং
সন্দ্বীপ।