কেউই না বুঝুক, তুমি ঠিকই বুঝ মা
এই হাস্যোজ্জ্বল কিংবা করুণ নির্বিকার চাহনি
দু’চোখের গহরে জ্বলন্ত আগুন আর অবিরল দহন
কেউ না-ই খুঁজুক রক্তচোখের মানে
তুমি ঠিকই খুঁজে নাও তার ইতিবৃত্তান্ত কারণ।
গহীনে কষ্টের উদগিরণ; বড্ড অসামাজিক হয়ে উঠছি দিনদিন
মানুষ উপহাস করে অট্টহাসি এনে জমায় মুখের কিনারে।
অথচ কেবল অনুভবেই যেন শেল তীব্রতায় বিঁধে তোমার হৃদয়ে।
দূরত্ব হোক প্রান্তীয়সীমা কিংবা বিচ্ছিন্ন সংযোগ
সর্বদায় আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে থাকো।
দূরত্ব বৃদ্ধির দীর্ঘশ্বাস কেউই না বুঝুক; অন্তত তুমি বুঝ
এবং প্রশান্তির ছায়ায় ঢেকে রাখো তপ্ত-দূর্গমপথ।
জীবনে অনেকেই ভুল বিনিময়ে শুদ্ধতা কাড়ে
অথচ তোমার শুদ্ধতায় মোচন আমার সমুদ্র-ভুল।
কেউই না হোক আমার দুঃসময়ের বন্ধু
তুমি অজান্তেই হয়ে যাও আমার ব্যথার অঃশীদার।
০৯.০৫.২০১৫ ইং
চট্টগ্রাম।