যদিও চাইনি বেধেছি তবুও
মোরা দুই ভাইয়ে ঘর,
শাসকের কৃপা শত অনাদরে
হাজার মাইলের পর।
চেয়েছিলাম যবে বাংলার সবে
বাংলা শুধু বাংলার,
ধর্মের বাঁধে বাংলার বধে
শাসক স্বার্থ লভিবার।
সময়ের ঘোর দিন দুই পর
মুখ চাপড়ে ধরে,
তোমার ভাষায় বলতে কথা
আমার মুখেতে পুরে।
জন্মের নাড়ী প্রবাহিত শিরে
অশিক্ষা না দেখায়ে,
সেই হানাদার হইনি আজও
মায়ের ভাষা বিকায়ে।
শহীদ মিনার ভাসে এখনও
শহীদের রক্ত স্নানে,
রাখব অটুট নিরবধি মোরা
বাংলা মায়ের সম্মানে।
একুশ মানে কি কেবলি স্মরণ
সালাম রফিক ক্ষয়ে?
প্রভাত ফেরি খালি পায়ে হাটা
কিছু ফুল হাতে লয়ে।
একুশের মানে দেখেছে বিশ্ব
একাত্তরের জয়ে,
বীর বাঙ্গালী যায়নি পিছায়ে
হানাদারদের ভয়ে।
পরাজিত সব নাপাক পাকিরা
নাপাক সে হায়েনা,
পশু নয় তারা পশুরও অধম
মুখে বলা যায় না।
একুশ মানে বিদ্রোহ মোর
বাংলাতে কথা বলা,
একুশ মানে অদম্য তেজ
বাঙ্গালী রুপে চলা।
একুশ মানে কুঁড়েঘরে বসে
থাকব নাকো আর,
একুশ মানে বিশ্ব জয়ের
রক্ত উন্মাদনার।
একুশ মানে কেবলি মননে
রক্ত গঙ্গা বয়,
বাঙ্গালী হয়ে দেখতে মায়ের
বিমর্ষ মুখের ছায়?
বাংলা মায়ের জন্য যারা
অকাতরে দেয় প্রাণ,
আমার হৃদয় গাহে নিরবধি
তাদের দিতে সম্মান।
বঙ্গে জন্মে যে জনেতে হায়
বাংলাকে নাহি ভালবাসে,
জনক কে তার সেই ইতিহাস
শুধু ঘোলাজলে ভাসে।