তবুও তোমারেই খুঁজুম
জাহিদ হোসেন রনজু
--------------------------------------®
তাকাইয়া থাকুম
এমন কইরাই তাকাইয়া থাকুম
তাকাইয়া থাকুম সারাটা কাল
সকাল দুপুর হইবো, দুপুর ফুরাইয়া বিকাল
সন্ধ্যা গড়াইয়া রাত্রি হইব, রাত্রি শেষে আবার বিহান
এমন কইরাই তাকাইয়া থাকুম তোমার জন্য সারা দিনমান।
আবার আইসবা বইলা চইলা গ্যাছো,গ্যাছো সেও বহুকাল
ফুলে ফুলে ভইরা গ্যাছে তোমার পোঁতা ছোট্ট গোলাপের ডাল
শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা গ্যাছে, গ্যাছে শরৎ-হেমন্ত-ফাগুন
জ্বালাইয়া, পোড়াইয়া খাক করছে মন বিরহের আগুন
চাঁন্দের লাহান মুখে কিরা কাইট্যা রাইখ্যা গ্যাছো আমায়
দিন যায়, মাস যায় তবু অপেক্ষার এ প্রহর না ফুরায়।
দরগায় শিন্নি দেই, কবজ বাঁধি কোমর, হাতে, গলায়
দিনের লাহান দিন যায়, রাতগুলি কাটে প্রার্থনায়
হগল সময় তাকাইয়া থাহি মোবাইলের দিকে
তাকাইয়া থাকতে থাকতে দৃষ্টি হইয়া যায় ফিকে
তবুও চাইয়া থাহি আশায় বাইন্ধা বুক
যেমন চাইয়া থাহে বাদলের লাইগা তৃষার্ত চাতক হইয়া উন্মুখ।
পোলা, মাইয়া, ভাই, বহিন, স্বামী, বউ, বন্ধু, আত্নীয়-স্বজন
হারাইলে- 'হারায় গ্যাছে', 'ফিরা আইস' দ্যায়া যায় বিজ্ঞাপন
কাঁন্দা যায় আছাড়ি পাছাড়ি, চিল্লাইয়া, চিল্লাইয়া
দুই,তিন,দশজনে কাঁন্দা যায় গলায় গলা জড়াইয়া
তোমার এই চইল্লা যাওয়া, ফিরা না আওনের কথা যায় না কওন
গলা চিপ্পা আটকাইয়া রাখতে হয় আড়ালে আবডালে হৃদয়ের দহন।
এমন এক সূতায় তুমি বাইন্দা গ্যাছো আমায়
এমন বান্ধন কাওরে তা দ্যাহান না যায়।
রাত্রি আন্ধার হইলে তখন, যখন ব্যাবাক্কে ঘুমায়
হগল কাঁন্দন আমার একলা নিরালায়
দুই চোখে ঢল নামে বানের স্রোতের লাহান
রাও নাই, শব্দ নাই শুধু পোড়ে শ্মশানের চিতায় পরাণ।
তাকাইয়া থাকুম
এমন কইরাই তাকাইয়া থাকুম
সকাল দুপুর হইবো, দুপুর ফুরাইয়া বিকাল
সন্ধ্যা গড়াইয়া রাত্রি হইব, রাত্রি শেষে আবার সকাল
তবুও তাকাইয়া থাকুম
আন্ধার হইলে চোখ অন্তর দিয়া সারা জীবন তাও তোমারেই খুঁজুম।
------------------------------------------
২৮ নভেম্বর ২০২০, মিরপুর, ঢাকা