""""""""
তিথির কথা
জাহিদ হোসেন রনজু।
-------------------------------------®
বৃষ্টি এলেই মনে পড়ে
পাশের বাড়ির গ্রাম-বালিকা তিথির কথা।
তিথি কে গো?
ভালবাসার মানুষ কেহ?
হবে হয়তো।
তখন কি আর বুঝি তেমন-
ভালবাসা কাকে বলে? কেমন রঙের?
শুধু বুঝি
আমার সকল ভাললাগা তাকে ঘিরেই-
কেমন যেন অন্য রকম ভাললাগা-
থাকলে কাছে
হাটলে পাশে
সময়টাকে মনে হতো অল্প অনেক।
মনে হতো সারাক্ষণই পাশে থাকুক,
কথা বলুক
হাসুক সে যে।
ইচ্ছে হলে চিমটি কাটুক ইচ্ছেমত
তবু থাকুক।
ক্লাশে পড়ার সময়টাতে
কেন জানি
দূরে বসে তাকিয়ে থাকতাম সারাক্ষণই
চাইতো যদি মুখটি ফিরে মাঝে সাঝে
চনমনে সুখ বাজতো বুকে।
ঐ তো হলো।
বোঝা গেছে।
বাসতে ভালো অনেক তাকে।
কিন্তু তবে এমন কেন?
ভালবাসার মানুষটাকে
শুধু মাত্র বৃষ্টি এলেই মনে পড়ে
এমন কেন?
থাক না এখন এসব কথা।
থাক তাহলে।
শুধুমাত্র একটু বলো
বৃষ্টি এলেই কেন তাকে মনে পড়ে?
বৃষ্টি ঝরা বাদল দিনে
প্রথম সে যে এসেছিল আমার কাছে
ভিজে ভিজে এসেছিল,
হয়েছিল অনেক আপন।
কত আপন?
ঐ বয়সে যা হওয়া যায় যতটুকু।
তখন ছিল বয়স কত?
আমার তখন কিশোর বয়স
এই ধরো না পনেরো-ষোল।
ওরও বয়স এমন কিছু।
সেদিন ছিল বৃহস্পতিবার
সাতই শ্রাবণ।
আকাশ ভাঙা বৃষ্টি ছিল ঝমঝমাঝম
সেই দুপুরে।
সকল চোখকে ফাঁকি দিয়ে
নেমেছিলাম বৃষ্টি স্নানে আমরা দুজন।
বেশ বুঝেছি-
গদগদে প্রেম......
অনেক কিছু।
গাছের আড়ালে জড়িয়ে ধরা
ঠোটের সাথে ঠোট যে ছোঁয়া
আরও আরও আরও কিছু।
না না না
ভুল তো এসব
নয়তো তেমন
তখন কি আর বয়স এমন?
একটুখানি হাতটি ধরা।
ক্ষেতের আইলে ছোটাছুটি।
বৃষ্টির জল হাতে নিয়ে
এ ওর গায়ে ছিটিয়ে দেয়া।
চোখে চোখে তাকিয়ে থেকে
একটুখানি মুচকি হাসা।
এমন কিছু ভালো লাগা বিষয় ছিল
সেদিনের সেই বৃষ্টি ঝরা বাদল দিনের ভর দুপুরে।
কিন্তু তাতেই ছিল অনেক... অনেক কিছু
ভালো লাগার সুখ যে ছিল ভীষণ, ভীষণ, ভীষণ রকম।
মনে হয়েছিল আমরা দুজন কত আপন, কত দিনের।
সেদিনের সেই বৃষ্টি ভেজা স্মৃতিগুলো
মনে হলে
রক্ত আজো ছল্ কে উঠে।
তাই তো আমার
বৃষ্টি এলেই মনে পড়ে তিথির কথা
পাশের বাড়ির সুখ বালিকা
মেঘ-বালিকা তিথির কথা।
---------------------------------------------
৩১ আগস্ট, ২০১৭, ঢাকা টু খুলনা।