দশা
জাহিদ হোসেন রনজু
------------------------------®
আমার দশা যে আজ
সে 'নাপ্তে'র মত,
যে নাপিত খুশিমত
ফোঁড়া কেটে যেত।
চারিদিকে পড়ে ছিল
ধুমধাম সাড়া,
ফোঁড়া কেউ কাটে নাতো
সে নাপিত ছাড়া।
তারপর সেথা এলো
চিকিৎসক ভারী,
শিখালো সে কোথা থাকে
দেহে রগ নাড়ী।
জেনে সব সে নাপিত
ভয়ে হয় সারা,
কাটে নাকো আর ফোঁড়া
যত দেও তাড়া।
কোথা থেকে কি যে কাটে
কেটে যায় নাড়ী,
কোন্ ভুলে না আবার
যায় রুগী মরি।
আমার দশাও আজ
হয়েছে তেমন,
পারি না আর লিখতে
পেরেছি যেমন।
লিখতাম বহু কিছু
সংখ্যায় তা বেশ,
পেতাম যে প্রতিদিন
শুভেচ্ছা অশেষ।
যদিও কৌশল ছিল
আরেক গোপন,
লাইকের বিনিময়ে
লাইক যেমন।
যখন পেলাম আমি
পন্ডিত সুজন,
যারা শুধু ভাল চায়
করে যে আপন।
বুঝালো তারা আমায়
জানো আরো বেশী,
কিভাবে কবিতা হয়
ছন্দ, মাত্রা মিশি।
মাত্রাবৃত্ত, স্বরবৃত্ত
আরো কত কি যে,
মাথা যত ঘুরে তবে
তত নাহি বুঝে।
তাই তো বুঝে অাধেক
হয়ত বা কম,
লিখতে গেলে এখন
চলে না কলম।
কি আবার লিখি ভুল
খুঁজতে যেয়েই,
হারিয়ে যে ফেলি ভাই
ভাবনার খেই।
তাই আমি ভাবি শুধু
রেখে কাঁদা হাসা,
আমারও আজ যেন
নাপিতের দশা।
-------------------------------------
২৯ মার্চ, ২০১৬, বাস, ঢাকা টু মানিকগঞ্জ