"""""""""""
                বর্ষাকাল
      জাহিদ হোসেন রনজু।
--------------------------------------------®

ঘন কালো মেঘে ঢাকা
সুনীল আকাশ
থেকে থেকে বহে মৃদু
ভ্যাপসা বাতাস।

গুরু গুরু দেয়া ডাকে
কড়কড় রবে
দামিনীর ঝলকানি
চমকায় সবে।

ঝরঝর বারিধারা
ঝরে অবিরল
বাড়ে যে নদী নালায়
বরষার জল।

ভরে যায় মাঠ ঘাট
পুকুর ও ঝিল
থই থই করে জলে
শাপলার বিল।

গ্রামগুলি ভাসে যেন
ছবির মতন
চারিধারে জলময়
অরূপ শোভন।

ছোট ছোট ডিঙি নাও
বাঁধা থাকে ঘাটে
পারাপার করে রোজ
নিয়ে যায় হাটে।

পাল তোলা নাও নিয়ে
আসে নাওয়রী
আনন্দে কাটে দিন
কাটে শর্বরী।

নির্মল নভে চাঁদ
পড়ে গলে গলে
জ্যোৎস্না ঝিলমিল
বরষার জলে।

মনোহর চন্দ্রিমা
কি যে তার রূপ
মৃদু মৃদু তরঙ্গে
নাচে অপরূপ।

নদী থেকে আসে মাছ
ক্ষেতে মাঠে খালে
বড়শীতে ধরে কেউ
কেউ ধরে জালে।

গাছে গাছে ফুটে ফুল
কদম্ব কেয়া,
বরষার উৎসবে
হয় দেয়া নেয়া।

ভয়ানক রূপ ধরে
বরষা আবার
বান হয়ে ডেকে আনে
ধ্বংস অপার।

ডুবে যায় ঘর বাড়ি
ফসলের মাঠ
ভেঙ্গে পড়ে বাধগুলো
জনপদ হাট।

খাদ্যাভাবে মানুষের
বাড়ে দূর্ভোগ,
না পেয়ে সুপেয় জল
বাড়ে ব্যাধি রোগ।

ক্ষণে ক্ষণে  বদলায়
রূপ অপরূপ,
এই হলো বাংলায়
বরষার রূপ।
----------------------------------------
২৯ জুলাই, ঢাকা।