বয়ঃসন্ধি পেরিয়ে বয়ঃপ্রাপ্ত হয়েছি সেই কবে, জীববিদ্যার ভাষায়-
হরমোনে আলোকিত ও অন্ধকার স্থলে পেয়েছি অতিরিক্ত কিছু চুল,
অনৈচ্ছিক পেশীর মন আর নিউরনের মস্তিষ্কের কিছু তাড়িত চাওয়ার দাবীতে
নর অঙ্গের কিছু উর্বর তরল যেখানে সেখানে রাখলে হবে ভুল।
মনুষ্য সমাজের স্বীকৃত আছে যে পথ, আলোচ্য সমাজ-বিজ্ঞানে
তাই মেনে করেছি বধু জোড়া এক্স ক্রোমোজোমের তুমি নারীকে,
আপেক্ষিক কিছু সৌন্দর্য নিয়ে বলবিদ্যার সুত্র দিয়ে প্রবল আকর্ষণ কেন করো?
মাত্রাহীন সমীকরণে অদিক রাশির মত ক্ষেত্র ভুলে চলে যাব ফারাকে।


তোমার এপিথেলিয়াল টিস্যুতে মেলানিন কম, হালকা রঙের বর্ণ, তবে কেন-
ঠোঁটের তলে মেলানিনের স্তুপ, যেন কৃষ্ণ গহ্বরের আকর্ষণ ঐ তিলে,
তরুণাস্থির গড়া ঐ সুউচ্চ নাক যেন গ্যালিলিওর সেই হেলানো মন্দির
অভিকর্ষ উপেক্ষায় দাঁড়িয়ে, পাদদেশে অধর উপত্যকা ভেজা সৌন্দর্য অন্তরালে।


সেই আকর্ষণে হারাই যেন প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়ায়
মাইটোকন্ড্রিয়া শক্তি যোগায়, কার্বন ডাই অক্সাইড সৃষ্টি দেহের প্রতিটি রন্ধ্রে,
তিনশ জুল কাজের প্রমাণ দুটি দেহের সন্ধিস্থলে জমা লবণাক্ত ঐ বর্জ্য
উথানক্ষম জৈবিক দণ্ডে নিক্ষিপ্ত সঞ্চিত পৌরুষ তোমার ভ্যাকুয়াম জৈবিক গহ্বরে।
ত্রিশ ডেসিবেলের এক অশ্লীল শব্দে কাঁপে দুটি ঠোট ফ্রিকোয়েন্সি একশত নব্বই
রেটিনা আর রড কোষগুলো হয় সক্রিয় আবছা আলোও না সহে বুজো আখি পাতা,
গোপন সেই তরল খুঁজে পায় পরিবেশ বান্ধব গ্রিন হাউজের মত উষ্মঘর-
তোমার মুখে ফোটে অর্ধচন্দ্রের হাসি যেন আর্মস্ট্রং হয়ে আমি আবার নামি সেথা।


অহ্নগতির আবর্তনে রশ্মির বিক্ষেপনে ভোরের আকাশ লাল হয়ে ফোটে
আমার অবৈজ্ঞানিক বুকে তোমার মনোবিজ্ঞানীর মাথা, ডাকছ ‘এই ওঠো’
এখনও সেই অর্ধচন্দ্রের হাসি লেগে আছে তোমার ঠোঁটে।



সস্তাপুর, নারায়ণগঞ্জ।
১৭এপ্রিল, ২০১৪ ঈসায়ী।