কত মত, কত আখ্যা
কত উক্তি, কত ব্যাখ্যা,
পেষণ, চর্বণ, ধারণ করে
পাইনি শ্বাশ্বত আলোর দীক্ষা।
কত হাত, কত জাত
কত অসি, কত মসি,
ধরে, হয়ে, বয়ে, সয়ে
পায়নি আলো ক্লান্ত পেশী।
কত দানব, কত মানব
কত ওঝা, কত প্রজা,
দেখে, শিখে, ছুঁয়ে, নুয়ে
দেখিনি আলো সরল সোজা।
কত বেদনা, কত সাধনা
কত দৃষ্টি, কত কৃষ্টি,
সহ্য, ধৈর্য, দেখে, চেখে
পাইনি খুঁজে আলোর বৃষ্টি।
কত বিষাদ, কত অবসাদ
ধারণ, করণ করে শ্রান্ত,
বন্ধ আঁখির গহীন গভীরে
ঐ যে কিসের আলোর প্রান্ত।
স্রষ্টা তুমি সৃষ্টির মাঝে
দিয়েছ এ কোন অচিন পুর,
হৃদয় গভীরে জ্বলতে থাকা
‘ঈমান’ নামে তেজস্বী ‘নূর’ (نور)।
সস্তাপুর, নারায়ণগঞ্জ।
১২ পৌষ, ১৪২০ বাংলা। ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৩ ঈসায়ী।