'কবিতা' তুমি এতো অভিমানি কেন?
ডাকলে আসতে চাও না,
আবার অবেলাতেই এসে বসে থাকো।
এটা কি ঠিক বল তুমি?
দিন দিন তুমি আমাকেও অভিমানি করে তুলছো।
আমি কি তোমার চুলে কভু 'জবা' গুজে দেইনি?
আমি কি তোমার নাকফুলটাকে ভালবাসিনি?
তোমার কানের দুলটা তো আমিই পরিয়ে দেই।
তোমার নীল শাড়িটাও তো আমিই পছন্দ করে দিলাম।
তবে কেন তোমার এতো অভিমান?
কখন থেকে বসে আছি তোমার অপেক্ষায়,
তোমার হাতের 'কান মলা' খেতে খুব ইচ্ছা করছে আজ।
আসো এখুনি...।।
এই দেখো, আজও সকল অলংকার সাজিয়ে রেখেছি
তুমি আসলেই পরিয়ে দিব।
'কবিতা' আর অভিমান করো না...।।
ওহ! কখন আসলে তুমি,
তুমি তো এসে গেছ, আর আমি কিনা টের পেলাম না।
হয়ত তোমাকে ভাবতে ভাবতেই বিভোর ছিলাম,
কিন্তু এতটা...!
'জবা' গুঁজেছি চুলে,
নাক ফুলটা ঠিক করে দিলাম,
কানের দুলটা পরিয়ে দিলাম,
আর শাড়িটা...;
সেটা না হয় না নাই বা বললাম।
হাসছ এখন... কিছুটা লজ্জা তো রাখো,
সব বলা যায় নাকি?
কিন্তু ভাবছি তুমি আসলে, আর আমি এত কিছু করলাম!
অথচ আমি টেরই পাইনি তুমি এসেছ।
'কবিতা'; হয়ত আজ মনের অভিমানটার চেয়ে
ভালবাসাটা একটু বেশী।
যেমনি আজকে তোমার রূপটাও গতকালের চেয়ে বেশী...।।
সস্তাপুর, নারায়ণগঞ্জ।
১৬ পৌষ, ১৪২০ বাংলা। ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৩ ঈসায়ী।