মহান আল্লাহ্‌, বলেন জমিনে পাঠাব প্রতিনিধি,
ফেরেশতারা বলে, জিন জাতির মত তাঁরাও ফাসাদ বাঁধায় যদি!
বলেন আল্লাহ্‌, যা জানি আমি, তোমরা না জান
আদম করলাম সৃষ্টি, তাকে সর্দার মান।
ফেরেশতারা এক বাক্যে খোদার হুকুম মানে,
ফেরেস্তার পূর্ব সর্দার, শুধু ইবলিশ নেয় না কানে।
আগুনের তৈরি ইবলিশ বলে, আদম কেবা সেরা আমা হতে?
মাটির আদমের তুলনা কি করে হয় আগুনের ইবলিশের সাথে।

ইবলিশের অহংকারে আল্লাহ্‌ হলেন রুষ্ট
বলেন খোদা, এই অহংকারেই তুই ইবলিশ হলি পাপিষ্ঠ।
এর পর হতেই লাগল ইবলিশ আদম-হাওয়া (আঃ) এর জীবনে
নানা রুপে কুমন্ত্রণা দেয়, নিষিদ্ধ ফল খেতে তারই সনে।
ধোঁকায় পরে হাওয়া (আঃ) সেই গন্দম খেয়ে ফেলে,
স্বামীর কাছে গিয়ে সে তাকেও খেতে বলে।

তাঁদের ভুলের কারণে আল্লাহ্‌ হলেন নারাজ
জান্নাত হতে দুনিয়াতে নামিয়ে দিলেন দরাজ।
দুনিয়ারই দুই প্রান্তে দু'জনের আকুতি, 'কর প্রভু ক্ষমা
ধোঁকায় পরে ভুল করেছি, তাইতো দুনিয়াতে নামা'।

মাফ করলেন আল্লাহ্‌ মহান, হল দু'জনের দেখা
'আদেশ হল দুনিয়াতে ফোঁটাও ইসলামের রেখা'।
আল্লাহ্‌র দেয়া নবুয়তে শুরু হল দুনিয়ায় বাস
হাবিল, কাবিল, আকলিমা; শুরু মানব জাতির চাষ।

এভাবেই শুরু দুনিয়ার বুকে ইসলামের আগমন
ইসলাম এসেছে সবার আগে, দুনিয়ায় মানব শুরু যখন।
সব যুগেতে সব নবীরাই করেছেন ইসলাম প্রচার
মুহাম্মদ (সঃ) এর সময় এসে সর্বাধিক হল প্রসার।
ইসলাম নয় নতুন ধারণা, শুরু আদম (আঃ) এর সাথে
সাড়ে চৌদ্দশত বছর আগে পূর্ণতা, মহাম্মদ (সঃ) এর হাতে।
যিনি হলেন জগত সেরা, সর্বশ্রেষ্ঠ, সর্বোত্তম মহামানব
অস্বীকারে ঈমান রবে না, জেনো তোমরা সব।
'ইসলাম' আছে তাই জগত চলে, তুমি আমি সৃষ্টি-
'ইসলাম' মেনে চলেই দেখো পাবে শান্তির বৃষ্টি।



সস্তাপুর, নারায়ণগঞ্জ।
১০ পৌষ, ১৪২০ বাংলা। ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৩ ঈসায়ী।