ভাঙাচোরা দেয়ালটা, শত বছরের পুরনো
দু’চারটা ইট এখানে সেখানে বিক্ষিপ্ত-
সৃষ্টির রহস্য খোঁজা পত্নতাত্ত্বিকের আকর্ষণ
হাজার বছরের বালুকাময় তীরে ঐতিহাসিক নিদর্শন।
আমি ব্যারোমিটার-থার্মোমিটার ওয়ালা নই...
দুটো পেন্সিল আর ছেড়া খাতাটাই আমার সম্বল,
রহস্য খুঁজতে আসিনি আমি, এসেছি দেখতে
ঐযে বালির প্রান্তে যেখানে এসে মিশে গেছে জল।
মরা বিকেলেই তো আমি আসব
আমি মরা বিকেলেরই তো লোক, আমায় কি চেননি...
আবছা আলোয় আবারও একই ভুলটা করলে
শতাব্দীর শতাব্দী ধরে ভাবুক ছেলেটা হয়ে আসি, মনে কি রাখনি?
ঐ যখন গানে গানে সুরের তানে পানকৌড়ির দল পথ হারায়
পশ্চিমি সূর্যটা তবু অভিমানে আলো নেভায়...
মন খারাপের আকাশ লালিমা মেখে নেয় গাঁয়ে
তখনি যেন আত্মভুলো আমি আসি ধীর পায়ে।
তোমার ভাঙাচোরা বিক্ষিপ্ত কিছু ইট, বেধেছি একটি সিট (আসন)
কিছু সময় বসব বলে, লাল আকাশ, লাল পানি বড় ডাকে আমায়,
ছলাত ছলাত স্রোতস্বিনীর কান্না ভোলা দায়
ভাঙাচোরা দেয়াল তুমি, আমি আস্ত তবু ভগ্ন হৃদয়।
আঁধার ঘনিয়ে এল, একটু শেখ বাড়ি যেতে হবে
ঐযে গতকাল যে ছেলেটা বাজাল মাদুলি, তারই বাকী কিছু আধুলি-
আমি আবারও আসব, কাল নয়ত শতকাল পরে
দেখতে এই ভাঙ্গা দেয়ালে বসে শতাব্দী শেষের গোধূলি।।
সস্তাপুর, নারায়ণগঞ্জ।
২৮ ফাল্গুন, ১৪২০ বাংলা। ১২ মার্চ, ২০১৪ ঈসায়ী।