চৈত্রের দিনের শেষে তপ্ত রাস্তা-ঘাট-মাঠ
আনাচে কানাচে থোকা থোকা একরাশ ধুলাবালি-
ক্লান্ত গাঁয়ে আদুল পায়ে ফিরছে সকিনার বাপ
হা-হুতাশে, তপ্ত বাতাসে ফিরছে পাখিগুলি।
উজ্জ্বল আলো ম্রিয়মাণ পশ্চিমি রাহু গ্রাসে
খেলার মাঠের উত্তেজনা পৌঁছেছে কখন শেষে,
তাল গাছটায় একজোড়া কাক কর্কশ সুরে যাচ্ছে একটানা কেশে
খাঁ বাড়ির কুমারী মেয়েটা ঠায় দাঁড়াল ছাদে এসে।
কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙ লালিমায় গেছে মিশে
সৈয়দ বাড়ির ভাবুক ছেলেটা দেখছে হারিয়ে আপন দিশে,
আম গাছটা দাঁড়িয়ে আছে জমাট কালো দৈত্য বেশে
দিকের দিশায় পূব আকাশে শুকতারাটা মিটমিটিয়ে হাসে।
আযানের সুর আহ সুমধুর ঐ দূর হতে এল ভাসি
অবনত মন যেন অনুক্ষন অজানায় গেছে মিশি,
অনুগত বীর নতজানু শির সুমহানে প্রত্যাশা বেশী
ক্রমে নিস্তব্দ দেশ এক শীতল বেশ মুগ্ধতা রাশিরাশি।
উপরে নীল আকাশ আবছা কালো আবছা রূপোলী
ঝোপে ঝাড়ে ঝি ঝি পোকার সুরেতে মিতালী,
গরুর পাল হাম্বা হাম্বা রবে মাঠ ফেলে গোয়ালে গেছে চলি
হাটুরের দল গাঁটুরী বেঁধে যাচ্ছে পথের প্রান্ত ফেলি।
কালিমার গ্রাসে লালীমা যাচ্ছে ধীরে মিলি
উঠোনের কোনে হাসনা-হেনা ফুটছে ভেঙ্গে কলি,
নিঃসাড়ে দাঁড়িয়ে আপনাকে হারিয়ে কে ঐ দাঁড়িয়ে শোন বলি
তোমা মাঝে আমি মিশে দেখেছি দিনান্তে মন খারাপের ‘গোধূলি’।
সস্তাপুর, নারায়ণগঞ্জ।
২৩ ফাল্গুন, ১৪২০ বাংলা। ৭ মার্চ, ২০১৪ ঈসায়ী।