দীপ্ত যে পিতা পৌরুষে,
ছিলাম তারই ঔরসে,
যেন ক্ষিপ্ত কামানের গুলি,
গেলাম মায়ের গর্ভে চলি
চপচপে রক্তমাখা মাংসপিণ্ডে-
উল্টানো নাশপাতির বাসা
এক পরিজন, নাভি যোগের ধন,
কিভাবে যাই বলি।

ধীরে গড়া দেহ
দেখেনি অন্য কেহ,
মাতৃ অনুভবে তবু-
হয়েছি দুই হাতি,
দুর্বল পায়ে লাথি,
সহ্যে তুমি মা।
দিবা নিশিক্ষণ,
ক্লান্ত দেহমন,
বিশ্রামে যে নারী-
নব দেহের খেলায়,
ধরাতে আসার বেলায় তোমার কষ্ট,
আমায় করো ক্ষমা।

ওয়ানা ওয়ানা স্বরে
ঘরে আলো করে,
এলাম আমি যেই-
বুকেতে জড়ায়ে,
বুকের অমৃতে ক্ষুধা ভরায়ে,
দিয়েছ দুঃখিনী তুমি সেই।
জিবে (জিহ্বা) অমৃতের স্বাদ
প্রশান্তিতে রেখেছি কাঁধ,
তলে স্নেহময়ী কার বাহু
গ্রিষ্মে শীতল,
শীতে উষ্ণতল,
মুহূর্তে দিয়েছ তুমি এই।

আজ তেজস্বী এ বাহু,
পিতৃ পৌরুষে টগবগ রাহু,
প্রস্তুত তোমার সেবায় যেই-
আমার দুঃখিনী মা,
রহমতের ছায়া,
আজ কেন তুমি নেই?



সস্তাপুর, নারায়ণগঞ্জ।
২৪ ফাল্গুন, ১৪২০ বাংলা। ০৮ মার্চ, ২০১৪ ঈসায়ী।