আয়,
আয় আমার ছোটো পাখিটা-
চৈত্রের খাঁ খাঁ রোদে আর কত খেলা করবি?
আমার ঘুলঘুলিতে ছোট কুল গাছটায় আয়,
শীতল ছায়া আছে
মিষ্টি কুল আছে
কত যতন করে রেখেছি, তোর জন্য।
কাটাগুলো আমি সব উপড়ে ফেলেছি
একটা একটা করে;
আমার পাখিটা ছোট কিনা।
কাটার আঘাত সইবে কেমন করে?
মাটির পাত্রে জল রেখেছি
যেন গরমেও শীতল থাকে
তুই নাইবি, গাইবি
পাতায় পাতায় সেলাই করে নীড় বানাবি,
সারাদিনের ক্লান্ত দেহটা এলিয়ে ঘুমে যাবি।
হয়ত তখনি একটু আসব আমি-
সারাদিন ব্যস্ত ছিলাম কিনা,
আমার ছোটো পাখিটা ঘুমিয়ে গেছে দেখে
ঠোঁটের কোনায় সুক্ষ টান যাবে খেলে।
আমার চঞ্চল উচ্ছল ছোটো পাখিটা ঘুমিয়ে আছে
আলতো করে মাথায় হাতটা বুলিয়ে উঠবো যখন...
আমার ছোটো পাখি তুই জড়ানো গলায় বলে উঠবি
“ভাইয়া কখন এলে?”



সস্তাপুর, নারায়ণগঞ্জ।
২৩ চৈত্র, ১৪২০ বাংলা। ০৬ এপ্রিল, ২০১৪ ঈসায়ী।