কবিতা লেখা বা লেখালেখিতে জোক আমার একদম ছিল না... তবে পড়তাম অনেক বেশী। তবে বন্ধু বান্ধবদের খাতার উপর নানা প্রকার ছড়া কবিতা দেখে আমারও মন চাইত ওদের মতো করে লিখতে।। ছোটবেলার এমনি একটা ছড়াঃ
'লেবুর রসে দুধের ছানা
এই খাতাটি ধরতে মানা
যদি বল খাতাটি কার
নীচে আছে নামটি তার...'
তারপর তার নাম লেখা থাকত। এমনি অনেক স্বতন্ত্র অনেক ছড়া দেখতাম অনেকের খাতার মলাটে। আর সেখান থেকেই আমার প্রথম টুকিটাকি লেখার ইচ্ছা... তো একদিন লিখে ফেললাম 'আকাশের গজমতি' নামে এই ছড়াটি।
'আকাশের গজমতি
দেখলাম সে রাতি;
যে রাতে আকাশে
সুখের চন্দ্র ভাসে,
সহসা সে কাছে আসে
ঘরের দরজা বন্ধ করলাম ত্রাসে।
হায় কি করলাম
হারালাম তাকে পাছে'।
২০০৩ সালে এটিই আমার প্রথম লেখা। তখন ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ছিলাম। কি হতে কি লিখেছিলাম বুঝতে পারি না। আজও না, তবে কেন যেন সেদিন এই ছড়াটিকে খুব ভালো লেগেছিল নিজের কাছেই। তাই আবার কলম চালালাম (এখন যদিও কীবোর্ড চালাই :) ) লিখতে। লিখে ফেললাম 'সেদিন দেখলাম' (কবিতার আসরে প্রকাশিত) ছড়াটি। এর পর হতে কিছুটা দমে গিয়েছিলাম। নবম শ্রেনিতে উঠার পরে দিনপঞ্জি লেখার প্রতি একটা জোক সৃষ্টি হল আমার মাঝে। আর তখনই প্রথম লেখা 'তুমি কত সুন্দর' (কবিতার আসরে প্রকাশিত) কবিতাটি। এর পর হতে অনেকটা নিয়মিতই আছি। ফেইসবুকে লিখছি বছরখানেক ধরে। আজ এ বাংলা কবিতায় আমার প্রকাশিত লেখার সংখ্যা ৫০ টি (প্রকৃত পক্ষে এটি আমার ৯০ তম লেখা) পূর্ণ হল। আমি তো তা খেয়ালই করি নি। কবি সাইদুর রহমান ভাই মন্তব্য করলেন...
'৫০ তম কবিতায় প্রাণঢালা অভিনন্দন।
কাব্য খুব ভালো লিখেন আপনি।
শুভ কামনা সতত'।।
কিছুটা অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। পরে আমার পাতায় প্রবেশ করে দেখি হ্যাঁ সত্যিই আমি ৫০ ছুঁয়েছি।
গত দু'মাস ধরে বাংলা কবিতায় আছি। এখানে দুইবাংলার গুণীদের মাঝে আমি যে অতি ক্ষুদ্র একজন তা বলার অপেক্ষা রাখে না, তারপরও যে ভালোবাসা ও সহানুভুতি ও পরামর্শ আপনাদের থেকে পেয়েছি তা সত্যিই আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া। তাই সকলের প্রতি আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জ্ঞাপন করছি। বিনিময়ে নয়, ছোট ভাইয়ের দাবীতে সকলের কাছে একটু দোয়া প্রার্থী হয়ে রইলাম।