===নামের শঠতা ======
নিজ নাম বাহক, শুধুমাত্র মানব জাতি,
অন্য সব গরু ছাগল বানর কুকুর হাতী।
এধরনের কোটি প্রাণী জাত নামে পরিচিত,
নিজস্ব একটা নাম তাদের কাছে অযাচিত।
করেনা তারা নামের বড়াই, নাম দিয়ে কি হয়?
নামের মধ্যে নেই কোন, স্ব চরিত্রের পরিচয়।
মানুষের তবে নাম থাকে, যেন যায় তারে চেনা,
আবার কিছু নাম এ'মানুষ, করে বেচাকেনা।
জন্মের অল্প সময় পরে, নাম আসে শিশুর ঘাড়ে,
এ'নামেই তার বড়ো হওয়া, এ'নামেতেই বাড়ে।
পরে কর্ম জীবনে, পেশায় যুক্ত হয় কিছু আবার,
প্রফেসর, চেয়ারম্যান, মেম্বার, মেজর,ব্রিগেডিয়ার।
আরো আছে উকিল, জজ যখন মসনদে,
এসব পদবী নাম, খুঁজে পাবেনা তার জন্মসনদে।
শিক্ষাগত কোন সার্টিফিকেট, নয় এ পেশা নামে,
প্রশংসা পত্রে হয়তো মিলবে দেখা এ'ধামে।
পেশায় কাজ চালাতে, হয় পদবী নামের প্রয়োজন,
অবসরে গেলে থাকেনা পদবী, হয় সব বিসর্জন।
তবু তারা ছাড়েনা এ'নাম বলে আমি ভিসি,
আমি অধ্যাপক, আমি সচিব, মন্ত্রী, জেলা ডিসি।
আপনি তো মহাশয় এখন নেই সেই পদে,
পদবী নামগুলো কি আছে কোন সনদে?
থাকতে পারে প্রশংসাপত্রে, লাগিয়ে প্রাক্তন,
নয় বা অবসরপ্রাপ্ত ঐ'পত্রে যা করছেন যতন।
অবঃ প্রাক্তনে পরিষ্কার, আপনি ছিলেন, নয় এখন,
তবু কেন বয়ে বেড়ান, ঐনাম পেশায় ছিলেন যখন।
এসব এক ধরনের শঠতা বই আর কিছু নয়,
জন্মসূত্রে যে নাম ছিল, এটায় আসল পরিচয়।
---জাহিদ চৌধুরী
১৩ই জুন ২০২১।