~~~মানব চরিত্রের প্রাণী~~~~
মানবজীবন চরিত্রে দেখা সিফাতের বলে,
পশুজাতের ভিন্ন প্রাণী চড়ে বসে মানবকূলে।
"বাঘের বাচ্চা' শুনে বুক উঠে ফোলে,
ইচ্ছে করে ছেলেকে নেই কাঁধে তোলে।
শুয়রের বাচ্চা শুনে রক্ত উঠে মাথায়,
বাঘ আর শুয়োর, পশু, তফাৎ কোথায়!
কলুর বলদ আবার সময়ে হয় আস্ত বলদ,
কোন কিছু উপকারে, সে যদি করে গলদ।
মানব উপাধিতে গাধা, নেমেছে খেয়ে জল আদা,
খুব কম ছাত্র আছে, গাধা ডাকেনি যাকে মাষ্টারদা।
তাগড়া বলতেই ঘোড়া, আছে অনেক তেজ,
দুরন্তপনার খেতাবে যাইনি বাদ কুকুরের লেজ।
ঘোড়া আবার ডিম পারে, কোন কিছুর বিফলে,
বাক্যলংকারের বিশেষণে পড়ে গরু'র কবলে।
শকুনের চোখ এসে ভীড়ে লোভের ক্ষেত্রে,
যবে কিছু যায়না বাদ মানবকূলের নেত্রে।
দুধের মাছি বলে চেনা যায় কিছু লোক,
নীরবে খেয়ে যাওয়া সবার নাম জোঁক।
কুত্তার বাচ্চা বলে রাগ ঝাড়া সবার স্বভাব,
কাজের বেলায় বসন্তের কোকিলের অভাব।
নাচের তাল বেতাল হলে, লাফাচ্ছে ব্যাঙ,
বিরক্তি প্রকাশে সারমেয় এর গ্যাং গ্যাং।
দুধের মাছি আছে অনেক, খাওয়ার তালে,
বিষধর সাপ বলে আখ্যায়িত হয় বিশেষ হালে।
লাজ শরমের ক্ষীয়মান হয় গন্ডারের চামড়া,
অসংগত আয়-ব্যয়ে, চিনির লাভ খায় পিঁপড়া।
আরো অনেক জীব জড়িয়ে আছে স্বভাবে,
তুলনায় কমতি নেই, নেই কোন নামের অভাবে।।
. . . ……….🖋
জাহিদ চৌধুরী, ইউ.এস.এ
ফেব্রুয়ারী ০৭, ২০২৩