(৪২তম মৃত্যু বার্ষিকে প্রিয় কবির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদিত)
--------------------
হে বিদ্রোহী কবি নজরুল!
"নির্জরে স্বপ্নভঙ্গ" হয়ে এলে
রাখালিয়া বাঁশি সুরে, অগ্নিবীণার ঝংকারে
চির উন্নত শীরে বিদ্রোহী শ্রান্ত দুপুরে।
তুমি নির্ভিক তুমি প্রতিবিম্ব জাগ্রত নব চেতনার
হার মানে যত গল্প সাহসীকতার,
তুমি শেখালে প্রেম ভালোাসার গান
ঐক্যতান স্বাধীনতা সংগ্রাম,
বাংলার বুকে দুর্বার সাহসে ঝরে ছিল অগ্নিকণা
বিষের বাঁশির প্রলয়ঙ্কারী উন্মাদ ঝড়ে
দিগন্ত কাঁপিয়ে,
হে সাম্যের কবি গেয়ে ছিলে বঞ্চিত-হতভাগ্যের প্রতি গান
আজ মসজিদের পাশে শুয়ে আছো যুগান্তর মিশে।
"আমার বুকের চাপ চাপ রক্ত শেষ ঝলক উঠে রাঙ্গিয়ে দিয়ে যাবে
তারপর হয়তো বড় বড় সভা হবে।
কত প্রশংসা, কত কবিতা বেরুবে আমার নামে
দেশ প্রেমিক ত্যাগী, বীর, বিদ্রোহী বিশেষণের পর বিশেষণ
টেবিল ভেঙ্গে ফেলবে থাপ্পর মেরে বক্তার পর বক্তা --......
এই অসুন্দর শ্রদ্ধানিবেদনের দিন - বন্ধু তুমি যেও না
যদি পারো চুপটি করে বসে আমার অলিখিত জীবনের কোন একটি কথা স্মরণ করো
তোমার ঘরের আঙ্গিনায় বা আশপাশে যদি ১ টি পায়ে পেসা ফুল পাও
তাহলে সেইটিকে বুকে চেপে বলো বন্ধু তোমায় পেয়েছি "।
হে মহা বিদ্রোহী কাজী নজরুল,
এনে দাও নিম্প্রভ সমাজের বুকে আবারও চেতনার ঢল
রক্ত নাচানো সাম্যের গানে আবারও ধূমকেতু উড়াও,
আজও 'কাণ্ডারী' পড়ে ঘুম ভাঙ্গে নব যৌবন দল,
তাই তুমি আছো....
রবে....
থাকবে প্রতিটা বাঙালী হৃদয়ে।