হে সমাজ অট্টালিকার ইট খুলে দেখো
নৈঃশব্দিক রাতে ঠোঁটে লিপষ্টিক একে স্বল্প বস্ত্রাভুষনে
লেম্পপোষ্টের নীচে ব্যস্ত খদ্দের সন্ধানে,
নিষিদ্ধ নগরীর অন্ধকার গলির মোড়ে
ব্যবসায় মত্ত দেহ অনাকাঙ্খিত বিষন্ন মনে
আমি পতিতা কলঙ্কিত সমাজে।
ক্ষত-বিক্ষত দেহটারে খাবলে খায়
ব্রাণ্ডেড সুশীলে চুপিসারে
ফেলে যায় বিষাক্ত ভাইরাসের রেতকে,
মগজের কারফিউ তোলে উরুসন্ধিতে
ভাড়াটে বিছানা সাক্ষী কলঙ্ক দাগে
যদিও নিগ্রহ করে সভ্যদের ভিড়ে।
পরিহাসে লজ্জা নেই কারণটা যে যন্ত্রণা
স্বাদে মনোরমা আমি সুশীলদের বনলতা
ভাগাড়ে স্বপ্ন পরিণত এক পতিতা,
মহাবিশ্বে অনাদি ও ঈশ্বর শূণ্য
জগৎ খপুংসকের দখলে
কোরান-বেদ বা যাই বলো রচিত প্রবৃত্তির আস্তানা!
নারীর অধিকারে আওয়াজ তুলে যারা
আধুনিক সমাজ তারে বেশ্যা ডাকে
দৃপ্ত কণ্ঠে ফুল ভলিওমে,
হতাশায় মুক্তির তালিমারা স্বপ্ন আঁকে
নিয়নেয় অশ্রুঝরা রাতে
কি সত্যিই মুক্তি হবে এফিডেভিট করে।