স্বরাজ যজ্ঞে হলে ইন্ধন হে ২৬ সেনানী
১৮ ই ডিসেম্বরে ভোরের পাখি করুণ কন্ঠ ডাকে
আকাশের বজ্রকণ্ঠ গর্জনে অশরীরী বর্ষণে
মালেগড় বয়ে লঙ্গাই,জানি তুমি রঞ্জিত লোহিত রঙে,
বেউরের বিভৎস দানবতা প্রকোপে অসুরাকৃতি রূপে
রেঘোদুল হাবিলদার রিজবুল নেতৃত্বের কলিজা ছিঁড়ে
আরও দিলো অযোধ্যা সিং এর মত বীর পরাক্রমী
মহাতীর্থে রক্তস্নানে শুদ্ধ হলো বুলেটের প্রতিটা আঘাতে।
আজও বাতাসে কথা বলে---
শ্বাপদ মুক্তের মোহে পরাধীনতা উৎখাত লক্ষ্যে
শোষকের নাভী সমূলে নিপাত করে
বিদ্রোহের লেলিহান শিখা ,
শাষকের অভ্যুত্থান দমনে,কুহিনুরের আবরুর নিমত্তে
বয়ে গেছে কত রক্ত ধারা,
মেলেনি আত্মার সঠিক ঠিকানা।
অরুণ রাঙা রক্ত প্রভাতের দিনগুলি
শহীদের ব্যাথা কি ভোলা যায়?
প্রশ্ন আমার ১২১ কোটির প্রতি
ধ্যান-জ্ঞান কোথায় রে আজি,
আনন্দে জীবন দিলো যারা তুই কি সত্যিই ভুলে গেলি!
মহাতীর্থের প্রান্তিক কোণে দেখ্ ওরা ফরিয়াদ করে।
হে দেশমাতৃকার যোগ্য সন্তান
শপথ নি একবার,তুলে ধরি বিশ্ব-দরবারে
মালেগড় শহীদ সমাধিস্থান।।
************************
[১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের সময় ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলার মালেগড় টিলা যাহা লঙ্গাই নদীর তীরে অবস্থিত,সেখানে সংঘটিত হয় ভয়াবহ সংঘর্ষ। মেজর রবার্ট বেউর নেতৃত্বে থাকা ব্রিটিশ বাহিনী তিনশো ভারতীয় সেনাকে ঘেরাও করে এবং সংঘর্ষে ২৬ জন ভারতীয় নিহত হন।
আজ বড়ই দুঃখের বিষয় ইতিহাসের পাতায় এই শহীদগণ প্রায় অস্তাচলের মুখে।]