"শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে,পড়ুক ঝরে
তোমারি সুরটি আমার মুখের পরে,বুকের পরে"
চারপাশের মায়াবি মধুর ক্রমাগত আঁধারে
ডুবে যেতে থাকি গভীর থেকে গভীরতরে,
ভাবিনি কখনও লিখবো
তোমায় নিয়ে, সাহস ও নেই ততটা
পড়েছি তোমার কবিতা
আঁখি ভিজে জলে শ্রাবণে মেঘের গর্জনে।
কিশোরীর কাগজের নৌকায়
ভেসে যাওয়া কবিতা,
ক্রমশ প্রশ্ন জাগায় প্রায়ান্ধকালে কিবা
আলোময় ঊষার স্নিগ্ধ কিরণে, কে শুনাবে।
আজও শ্রাবণ সন্ধ্যায় পূর্ণিমাচাঁদ ম্লান তুমি বিহনে
দুই বাংলার রক্ত আটকে থাকা জাতীয়তা
গাঁট বাঁধা তোমার মিলন সুরে,
আজও সবারে কাঁদায়
একরাশ মেঘ অশ্রু বাদল সম্ভারে।
বাঙালিমননে তোমার স্মরণে
" মৃত্যু দিয়ে যে প্রাণের মূল্য দিতে হয়
সে প্রাণ অমৃতলোকে,মৃত্যুকে করে জয় "
তুমি অমর্ত্য,বাঙালির প্রেমে বাংলার গানে
আজ ২২ শে শ্রাবণে
গুরু হারাবার কান্নারা ঝরুক বৃষ্টি রূপে।
" দাঁড়িয়ে আছো তুমি আমার গানের ও পারে
আমার সুরগুলি পায় চরণ,আমি পাইনে তোমারে "
মেঘ আজও অশ্রু হয়ে ঝরে শান্তিনিকেতনে।