এখন গভীর রাত,
তোমার চঞ্চল পায়ের শব্দ
উনিশ শতকের ট্রেনের মতো এগিয়ে আসে,
ক্রমশ আমার দিকে—আমি কম্পিত।

গির্জার ঘণ্টা চিহ্নিত করেছে সময়,
একজোড়া হাত, একজোড়া চোখ,
ঠোঁট ও হাসি—
সবকিছু অনুভবের ভারে আমি ঘুমিয়ে পড়ি।

পরদিন ঘুম ভেঙে মূল বুঝি,
তুমি খুন হয়েছো।
তুমি জন্মাতে চেয়েছিলে পৃথিবীর প্রয়োজনে,
অথচ আজন্ম কাল ধরে আমার শরীরে
প্রজননের অনন্ত উত্তেজনা—
তবুও তোমার সম্ভাবনাকে হত্যা করি।

তুমি চেয়েছিলে ধর্ষকের ফাঁসির দড়ি হয়ে জন্মাতে,
প্রতিবাদের মশাল, প্রজ্জ্বলিত প্রদীপ,
বেওয়ারিশ লাশের নীরব সাক্ষী হতে।
তুমি চেয়েছিলে অভিভাবক হতে,
অথচ আমি ব্যর্থ কবির মতো
তোমার আগমনী গান লিখতে পারিনি,
পদাবলী প্রাণ দিতে পারিনি,
দেইনি শুভেচ্ছা কোনো।

শত সহস্র হত্যার পাপ নিয়ে আবার ঘুমোই।