আমি লিখতে চাইছি,
কিন্তু ব্রেইনের ধূসর কোষগুলো আজ আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে।
মাতৃভাষার শব্দকোষের শব্দগুলো ব্রেইন তার জিপড ফোল্ডারে পাসওয়ার্ড প্রোটেক্টেড করে রেখেছে।
আমার মনটাকে স্বাধীনভাবে তার ধূসর পথে হাঁটতে দিচ্ছে না।
তার দরজাটা আজ আমার জন্য রুদ্ধ।
আজ আমি লিখতে চাইছি,
কিন্তু সাদা কাগজের বুকে কিছুতেই বলপেন অক্ষর সৃষ্টি করতে চাইছে না।
হাত কলমটাকে জোর করে লিখাতে চাইলে শুধুই সফেদ কাগজের বুকটাকে ক্ষতবিক্ষত করছে-
অযথা আঁকিবুকি।
আজ আমি লিখতে চাইছি,
কিন্তু কলমটিকে মনে হচ্ছে ফনিমনসার ডাঁটি।
আর খাতার প্রতিটি পৃষ্ঠা যেন বিছুটি পাতায় তৈরি।
আজ আমি লিখতে চাইছি,
কিন্তু রংচটা, প্লাস্টার খসে পড়া দেয়ালের দিকে তাকিয়ে থেকে থেকে ক্লান্ত হয়ে পড়া চোখ-
আমার কাছে মিনতি করছে ওকে বিশ্রাম দেয়ার।
বিদ্রোহ করছে আমার রক্তিম চোখজোড়া।
আজ আমি লিখতে চাইছি,
কিন্তু আমার পুরানো বন্ধু, মাথা ধরা, আজ পন করেছে আমার সঙ্গ কিছুতেই ছাড়বে না।
আজ আমি লিখতে চাইছি,
কিন্তু চেয়ারটা বোধহয় ধারালো প্রবালে তৈরি, আর টেবিলটা সংকীর্ণ তন্দুর।
আজ আমি লিখতে চাইছি,
কিন্তু পরিশ্রমে ক্লান্ত কড় পড়া আঙুলগুলো আজ আমার সাথে অসহযোগীতা করছে।
কিছুতেই ধরতে চাচ্ছে না সুদৃশ্য বলপেনটিকে।
আজ আমি ক্লান্ত, বিধ্বস্ত।
অনিশ্চয়তার অতল গহ্বরে আমি হারিয়ে গেছি।
হৃদপিণ্ডকে সালফিউরিক এসিডে স্নান করিয়ে জ্বলন্ত বিটুমিনে কবর দিয়ে দিয়েছি।
অবাধ্য অঙ্গগুলোকে আজ মনের দাসত্ব থেকে মুক্তি দিয়ে দিয়েছি।
আর বাধ্য করবনা স্বৈরাচারী মনের আদেশগুলোকে মানতে।