খুব সকালে, কাক ভোরেতে, আকাশ যখন দিচ্ছে ডাক।
প্রকৃতির ঐ বৃষ্টিভেজা, রূপেই আমি রুদ্ধবাক।
নীল আকাশের মধ্যিখানে, আসলো ছুটে মেঘগুলো।
হঠাৎ করেই কাঁদলো অঝোর, ঠিক যেন মেয়ে মন-ভুলো।

খানিক বাদেই সূয্যিমামা, মুচকি হেসে ঝাড়লো গাঁ।
আলসে রোদে পাখনা ঝেড়ে, নাচছে চড়ুই তাধিন-তা।
অল্প দূরেই একলা কদম, সঙ্গী তাহার বকুল গাছ।
গন্ধ যে তার প্রাণ জুড়ানো, মন মাতানো আলোক নাচ।

পুকুর পাড়ের গাছটা ছেড়ে, সামনে গেলেই ধানের মাঠ।
বৃদ্ধ কৃষক, দিচ্ছে সবক, শিখছে বালক প্রথম পাঠ।
মাঝ পুকুরে মাচায় বসে, মারলে ছুড়ে হাতের জাল,
অপর পাড়ে ছিপ পেতেছে, আজ না পেলে ধরবে কাল।

বয়েস তেরোর এক বালিকা, আসছে ক্ষেতের আল ধরে।
পিঠের উপর দীঘল বেণী, নাচছে হাঁটার তাল ধরে।
সেই বালিকার কানে ছিলো, কাঠগোলাপের ফুল গোঁজা।
নিচু স্বরে গাচ্ছে যে গান, চোখদুটো তার আঁধ-বোজা।

পাশের বাড়ির মিঠুনের মা, ডাকছে 'মিঠু' নাম ধরে।
মিঠুন তখন কাদায় মাখা, খেলছিলো হাফপ্যান্ট পরে।
বৃষ্টি ভেজা বর্ষাকালে, দিন যে কাটে এই দেখে।
আষাঢ়ের এই শেষ বেলাতে, পদ্ম পুকুর ব্যাঙ ডাকে।

..........................................................
০৬ জুলাই ২০১৯