আমি এই যে এত নির্ভাবনায় থাকি
আয়েস করে পায়ের উপর পা তুলে
বসে থাকি, ভাবনার তা মোটেই পছন্দ নয়।

সেদিনও ইজি চেয়ারে বসে
দোল খাচ্ছিলাম, ভাবনা হঠাৎ এসে
বললো, এত নির্ভাবনায় কি করে
থাকতে পারো?

আমি দোল খেতে খেতে বললাম,
তাতে তোমার এত হিংসা কেন?

ভাবনা বললো, সত্যি কথা হচ্ছে আমাকে ছাড়াই আসলে তুমি নির্ভাবনায় থাকো।

ভাবনা এভাবেই আমাকে পেয়ে বসে। বিরক্তি নিয়ে বললাম, কি বলবে তাড়াতাড়ি বলো।

ভাবনা বললো,
কলে জল নেই।
আমি বললাম, ভেব না আগামি মাসে
বাড়ি ভাড়ার সব দেনা শোধ করে দেব।

ভাবনা বললো
আরও আছে। বাবুর স্কুল যাওয়া বন্ধ।
আমি বললাম,
আগামি মাসের মাইনেটা পেলেই
সব বকেয়া দিয়ে দেব।

ভাবনা বললো,
ঘরে চাল নাই, ডাল নাই
মাছ তরকারি কিচ্ছু নাই।
আমি বললাম, আগামি কাল...

ভাবনা আরো বললো,
তোমার বুড়ো মা
দিন রাত খক খক করে কাশে
অথচ এক বিন্দু ঔষধ নাই।
আমি বললাম, আগামি কাল...

আরও শুনবে?
ভাবনা যোগ করলো,
তোমার ঐ বস্তা পঁচা কবিতা
কেউ কি পড়ে?
আমি বললাম,
হয়ত কোন একদিন...

চোখ মুখ আঁচলে ঢেকে
ভাবনা বিদায় নিলো।
আমার কি এখন নির্ভাবনায়
থাকা উচিৎ নয় ?