বামনের চোখে মুখে সংকল্প দেখিয়া
বৃদ্ধ উপযাচক হইয়া কহিলো,
সাহিত্যের উদ্দেশ্যে পথে নামিতেছ?
কিছুটা অগ্রসর হইলে দেখিবে
দিগন্ত বিস্তৃত ধূ ধূ প্রান্তর ছাড়াইয়া
কোথাও বহু দূরে হয়ত ক্ষীণ সবুজের
তটরেখা দেখা যাইতেছে। এই পথে
অত্যুজ্জ্বল রবির  আলোকচ্ছটায়
তোমার চোখ ধাঁধাইয়া যাইবে।
হয়ত কোন বুলবুল পাখির বিদ্রোহী গান
তোমাকে সম্মোহিত করিয়া তুলিবে।
পূর্বসুরীদের রাখিয়া যাওয়া পায়ের ছাপে
যে নির্জন স্বাক্ষর আছে
তাহা তোমাকে খুঁজিয়া লইতে হইবে।
ঈগলের মত দৃষ্টি  দিয়া যতদুর চাহিবে,
দেখিবে কেবলই আলেয়ার আলো
আর কুহক সঞ্জাত মরিচিকা
চিক চিক করিতেছে।

এই পর্যন্ত  বৃদ্ধকে থামাইয়া অস্থির
বামন অতি আত্নবিশ্বাস লইয়া কহিলো,
মশাই আমাকে যতখানি বোকা
ভাবিয়াছেন, আমি কিন্তু ততখানি বোকা নই।
এই ব্যাগ ভর্তি করিয়া টাকা লইয়াছি।

বৃদ্ধ চোখ কপালে তুলিয়া কহিলো,
কোথায় রহিলো সাহিত্য?
আর তুমি বলিতেছ টাকা?

বামন কাচুমাচু হইয়া চোখ টিপিয়া কহিলো,
বোঝেন না কেন, এই সবই ঘুসের টাকা!
যাইতে যাইতে পথে বিলাইবো।
সাহিত্য আমার পায়ের কাছে না আসিয়া
যাইবে কোথায়?