কাগজের নৌকা
ভেসে যায় অবেলায়
কখনো সেচ্ছায়
কখনোবা অলক্ষ্যে
আমার শৈশবের স্মৃতি
বৃষ্টির জল তৈরী করে ছোট নদী।
পাড়ার সবচেয়ে পুরাতন মানূষ
সকলের নানি
তাঁর কাছে সবাই মিলে
শুনতাম দৈত্যবধের গল্প।
জাগ্রত অতীত মনে করিয়ে দেয়
চড়ুই, শালিক আর
প্রজাপতি ধরার
সোনার দিনকে।
জুঁটি বেধে স্কুল পালানো
রোপার চরের উত্তপ্ত বালুকারাজি
ক্ষুধার্ত পেটে সুমিষ্ঠ নদীর জল
আমার শৈশব,
আমার এবেলা ওবেলা।
চড়ুইভাতি? নাকি টূপা?
যে যাই বলো আমি বলি
সে বিশাল,
যেনো মহোৎসব, প্রানের মেলা।
পার্বনের জ্বালানি আনতে
মাড়াই সবুজ পাহাড়
কস্টের পথে নির্মল আনন্দ
সে আমার শৈশব
আমার দুরন্ত কৈশোর।
পৃথিবী ভর্তী অর্থ,
ঐশ্বর্যের ইন্দ্রপুরী
তবু আজও নির্ভীক মোরা
জীবন করেছি কাগজের তরী।
ছাড়িয়া সুখ, ফুলের বিছানা
আমরা কভু শুন্য নয়।
পুন্যকর্মে সদা চলমান,
সাথে বিবেক বিধাতার দান।
সোনার খনি দিলেও তারে
করিতে পারি তুচ্ছ জ্ঞান।