লাল ছোপ ছোপ রক্তে আমার ঘরের মাটি ভিজে যায়
আমি শূন্যতাভরা মনে আকাশের দিকে থাকিয়ে থাকি।
আমার হৃদয়ে হাহাকারের ঢেউ জাগে
আমি যন্ত্রণায় গড়িয়ে গড়িয়ে ছটফট করি বাংলা মাটির প্রতি ইঞ্চিতে।
আমি অসহায় হয়ে অক্ষম আর্তনাদে চিৎকার করি
আমার চিৎকারের আওয়াজ সর্বত্র ভেসে বেড়ায়।
আমি ধর্ষিতার কান্নার কথা বলছি।
আমি বলছি বেগমগঞ্জের সেই বোনের কথা।
এমন নারী ও শিশুর সংখ্যা এ জমিনে দশ হাজারের অধিক।
এ চিৎকার এসব কান্না আর সহ্য হয় না।
সহ্য করা যায় না।
আজ বজ্রনিনাধে প্রবল আক্রোশে আমরা হানবো আঘাত ধর্ষকদের মেরুদণ্ডের মাঝখানে।
আজ যিনাকারদের হৃদয়তন্ত্রীতে ভূমিকম্পের প্রচন্ড আঘাত হানবো আমি।
যারা ধর্ষক তারা জানোয়ার
যারা ধর্ষকদের প্রতিপালন করে তারা হায়েনা।
এদেরকে এ সমাজে চলতে দেয়া যায় না।
আজ মানুষের আনন্দের দিন
কেননা আজ যিনা- ব্যভিচার এবং ধর্ষণের শেষ প্রহর।
এরপর থেকে এদেশে আর যিনা-ব্যভিচারের সুযোগ দেয়া হবে না।
মানুষের সমাজে আর কোনো ধর্ষকের ঠাঁই হবে না।
রচনাকাল:
১৪.১০.২০২০ বুধবার
দুপুর রাতে
ইশা চা চত্ত্বর, পল্টন মোড়-ঢাকা।