সাগরের নৈসর্গিক সৌন্দর্যে হারিয়ে যাওয়ার আনন্দ তোমাকে বলে বলে বুঝানো সম্ভব না।

সন্ধ্যা রাতে সাগর-সৈকত ধরে কাছাকাছি হয়ে হাঁটার মজা তোমাকে আমি কীভাবে বুঝাবো?

আর হাঁটার ফাঁকে ফাঁকে কবিতা, বিপ্লব, আর বিপ্লবের রেখাচিত্র অংকন করা সেতো বিপ্লবের সূর্যকে উদিত দেখার মতই।

সত্যি কথা কি জান?
সত্যি কথা হলো, আমরা যারা বিপ্লবের জন্য সারা বাংলা চাষবাস করি; তখন সাগর-ঢেউয়েও তারবিয়াত হয়,
সাগর ঢেউয়ের উত্তাল স্রোতে হারিয়ে না গিয়ে
ঢেউকে পাশ দিয়ে চলে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়ে মাথা উঁচু করে নিজেকে ধরে রাখতে হয়; তবেই না তুমি সাতারু!

স্রোতের তালে তালে হারিয়ে যাওয়ার নাম সাতারু নয়; বিপ্লবী তো নয়-ই।

কখনো কখনো স্রোতকে তার মত করে যেতে দিতে হয়;
স্রোতের বিপরীতে না দাঁড়িয়ে।
কিছু স্রোতের উন্মত্ততায় বুক- পাজরের হাড্ডি ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

তোমাকে বলছিলাম!
সাগরের সৌন্দর্যে হারিয়ে যাওয়ার আনন্দের কথা!
তোমাকে বলছিলাম সন্ধ্যা রাতে সাগর তীর ধরে বিপ্লবীদের নিয়ে বিপ্লবের রেখাচিত্র অংকনের কথা!

সাগরের ওপারে যেমন একটি সুন্দর শান্ত ভালো লাগার ভূমি আছে
তেমনি বিপ্লবের উত্তাল ঢেউয়ের পরে পরেই সুন্দর সোনালী সকাল আছে।

আমি সেই সকাল দেখার জন্যই রাতে নির্ঘুম বাসে-লঞ্চে- রাজপথে বিপ্লবের ফেরি করি।

রচনাকাল
১৩.১১.২০২০ শুক্রবার
লাভণী বীচ, কক্সবাজার