চাঁদ আর আকাশ দেখে দেখে
নদীর বুক চিরে-
পানি ভেঙ্গে ভেঙ্গে
আমি যাচ্ছি আমার প্রিয়তমের নিকট।
সে যেখানে আছে সেখানের মাটির ঘ্রাণ
আমাকে আকুল করে পাগলের মতন।
আমি বাকরুদ্ধ ও কান্না রুদ্ধ হয়ে যাই...
তাঁর সামনে আমি দাঁড়াই
আত্ম সমর্পিত হৃদয় এবং অবনত মস্তকে।
কল্পনায় হারিয়ে গিয়ে তাঁকে দেখি...
তাঁকে আমি খোঁজে পাই মসজিদে জিকিরের হালকায় এবং
সমাবেশে বজ্র নিনাদে প্রবল প্রতাপে জালিম শাহির বিরুদ্ধে জুলুমের দরিয়ায়।
তাঁকে দেখি রমজানে আত্মসমাহিত আত্মভোলা নিমগ্ন এক রুহানি সম্রাট।
তাঁকে দেখি নদীর ঢেউ ডিঙ্গিয়ে বিচরণ করতে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রবাহিত হওয়া প্রতিটি জল সীমানায়।
তাঁকে দেখি হিমালয়ের পাদদেশ ধরে হেঁটে যেতে সমগ্র ভূ- এলাকায়।
তাঁকে দেখি অঝোর ধারায় প্রবাহিত অশ্রু কণা নিয়েও মানুষকে বলছেন তাদের আপন গন্তব্যের ঠিকানা।
জল ভেঙ্গে যেতে যেতে আমি দেখি জলসীমা শেষ হয়ে যে ভূভাগ
তার মাঝে মসজিদ আল কারীম এবং
এরও সামনে তাঁর বিশ্রামগাহ...
যেখানে আসমান থেকে নামে বেহেশতের উষ্ণ- শীতল- কোমল শরাব।
১১ জুন'২২
শনিবার (রাত ০১:০৩)
সুন্দরবন-১০